মো: আরিফুল ইসলাম, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় নির্বাচনী অনুন্ধান কমিটির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন নওগাঁ-২ (পত্নীতলা ও ধামইরহাট) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহীদুজ্জামান সরকার। তবে ওই আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন তিনি কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি বলে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিকে জবাব দিয়েছেন।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁ-২ আসনের জন্য গঠিত নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান ও জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আহসান হাবিবের আদালতে শরীরে হাজির হয়ে সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার ও জাপার পার্থী তোফাজ্জল হোসেন কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে লিখিত ব্যাখ্যা দেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে শহীদুজ্জামান সরকার ও তোফাজ্জল হোসেনকে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান ও নওগাঁর জ্যেষ্ঠ সহকারী  জজ আহসান হাবিব আদালাভাবে চিঠি দিয়ে কারণ ব্যাখ্যা চান।

নওগাঁ-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহীদুজ্জামান সরকার তাঁর লিখিত ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেছেন, ‘গত ৩০ নভেম্বর এবং বিভিন্ন সময় নওগাঁ, ধামইরহাট ও পত্নীতলায় দলীয় নেতাকর্মীরা তাঁর অজ্ঞাতে আবেগের বর্শবর্তী হয়ে ব্যানার, ফেস্টুন সহকারে জমায়েত হয়ে জনগণের চলাচলে সাময়িক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে থাকতে পারে। এই কাজের জন্য তিনি গভীরভাবে মর্মাহত এবং নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। ভবিষ্যতে এ ধরণের কাজ যাতে না হয় সেদিকে তিনি খেয়াল রাখবেন।

অন্যদিকে নওগাঁ-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে লিখিত ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেছেন, তিনি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা পদে রয়েছেন। তিনি সারা বছরই জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কর্মসূচিসহ ব্যক্তিগত প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন পুরো নওগাঁ জেলাজুড়ে লাগিয়ে থাকেন। সেই ধারাবাহিকতার এ বছরেও তিনি ও তাঁর সমর্থকেরা বিভিন্নরকম ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়েছেন। প্রার্থী হওয়ার পর তিনি কোনো ব্যানার ফেস্টুন লাগাননি। যে সমস্ত ব্যানার ফেস্টুনের বিষয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির দৃষ্টিগোচর হয়েছে সেগুলো প্রার্থী হওয়ার পূর্বেকার।

ইতোমধ্যে কিছু ব্যানার ফেস্টুন অপসারণ করেছেন এবং বাকিগুলো সরানো বিষয় প্রক্রিয়াধীন আছে। পারিপার্শি¦ক ঘটনা ও অবস্থাক্রমে এবং লিখিত জবাবের আলোকে তাঁর প্রার্থীতা অব্যাহত রাখতে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
শহীদুজ্জামান সরকার ও তোফাজ্জল হোসেনের লিখিত জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদেরকে সর্তক করে নির্বাচনী আচরণবিধি  কঠোরভাবে প্রতিপালনের নির্দেশনা দিয়েছেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান ও জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আহসান হাবিব।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version