কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোণার বারহাট্টায় ইসলামী ঐক্য জোটের প্রার্থীর নির্বাচনী আলোচনা সভায় প্রার্থীর পক্ষে ভোটের জন্য প্রচারণা করেছেন একজন প্রধান শিক্ষক। বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার নজরে আসায় ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নির্দেশ দিয়েছেন।
সংসদ নির্বাচনে কোন প্রার্থীর পক্ষে কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর প্রচারণা চালানো সরকারি চাকরি বিধি ও নির্বাচনী আচরণ বিধির লঙ্ঘন বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত বারহাট্টা উপজেলার আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম সাজ্জাদুল হক সবুজ।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে দিকে ইসলামী ঐক জোটের প্রার্থী মো. ইলিয়াস তিনি তার বাড়িতে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে প্রধান শিক্ষক এস এম সাজ্জাদুল হক সবুজ উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে গত বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় নেত্রকোণা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনের ইসলামী ঐক্য জোটের প্রার্থী মো. ইলিয়াসের বাড়ি বারহাট্টা উপজেলার নুরুল্লার চর গ্রামে এ নির্বাচনী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইলিয়াসের পক্ষে কাজ করার জন্য সবাইকে আহবান জানান শিক্ষক সাজ্জাদুল হক সবুজ।
বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদ পারভেজের নজরে আসে। পরে তিনি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। বুধবার বিকেলেই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা মো. মিজানুর রহমান খান ওই শিক্ষককে শোকজ করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম সাজ্জাদুল হক সবুজ বলেন, অনুষ্ঠানে গিয়েছি। খুরশিমুলের জুনাইদ হুজুর আসছে। তার কাছ থেকে আমার বাচ্চার জন্য তাবিজ-কবজ আনার জন্য। কেউ যদি বলে ভোট চাইতে গিয়েছে পরে এইটা আমি সামাল দিবো-নি। ইলিয়াসের জন্য দোয়া চাই নাই, যে কেউ দোয়া তো চাইতে পারে। কারণ দর্শানোর নোটিশ পাইনি, পাইলে সুন্দারভাবে নোটিশের জবাব দিয়ে দিবো।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্কমর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, প্রধান শিক্ষক এস এম সাজ্জাদুল হক সবুজ তিনি ধর্ষণ মামলায় ছয় মাসের অধিক সময় জেলও খেটেছেন। তার নামে হয়েছে হত্যা চেষ্টা মামলাও। এছাড়া নিজের বাবার নাম গোপন করে সাজ্জাদুল হক সবুজ তার খালুকে বাবা পরিচয়ে কোটায় শিক্ষকের চাকরি করছেন। এতকিছুর পরেও অদৃশ্য কারণে তিনি রয়েছেন কর্তৃপক্ষের ধরা-ছোঁয়ার বাহিরে।