কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন : স্ত্রী হত্যায় মৃত্যুদন্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জিয়া উদ্দিনকে (৪৩) আটক করেছে র্যাব। সোমবার সকাল ৯টার দিকে জিয়া উদ্দিনকে ঢাকা মহানগরীর কদমতলী থানাধীন মেরাজনগর এলাকা থেকে র্যাব-১৪ এর স্কোয়াড্রন লিডপার মো. আশরাফুর কবিরের নেতৃত্বে নারায়নগঞ্জ র্যাব-১১ এর সহায়তায় একটি দল গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
গ্রেফতারকৃত আসামি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আব্দুস সোবাহানের ছেলে। যৌতুকের জন্য তার স্ত্রী রেখা আক্তারকে গলায় দাঁড়ালো দা দিয়ে হত্যা করে। ভুক্তভোগী কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানাধীন হাতকাজলা গ্রামের মো. হারেছ মিয়ার মেয়ে।
প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় র্যাব-১৪ (সিপিসি-২) এর কোম্পানী অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লীডার মো. আশরাফুল কবির।
তিনি জানান, ২০০৬ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে রেখা আক্তারের সাথে তার বাবার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে জিয়া উদ্দিনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে জিয়া উদ্দিন যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারমিঠসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। নির্যাতনের বিষয়টি ভুক্তভোগী তার মা-বাবাকে জানালে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বাড়ির পাশে ক্রয়কৃত জমিতে বাড়ি করে দেয়। কিন্তু তাতেও পাষন্ড স্বামী যৌতুকের চাহিদা মিটে নাই। আরও যৌতুকের টাকা-পয়সার পাওয়ার জন্য ভুক্তভোগীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ খুন করার হুমকী দিতে থাকে। বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে ভুক্তভোগী তার মা-বাবাকে বিষয়টি জানায়।
২০০৬ সালের জুলাই ১৪ তারিখ রাত আনুমানিক ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার সময় জিয়া উদ্দিন তার নিজ বসত ঘরে ধারালো দা দিয়ে স্ত্রী গলায় পোচ মেরে নৃশংসভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা পরের দিন তাড়াইল থানায় মামলা দায়ের করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণ হয়। আদালাত ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম দিন মৃত্যুদন্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
র্যাব আরও জানায়, সাজা থেকে বাঁচতে আসামি কিশোরগঞ্জ ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় তার নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে পালিয়ে বেড়ায়। গ্রেফতারকৃত জিয়া উদ্দিনকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মিঠামইন থানা পুলিশের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।