হযরত আলী,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জমিতে বেড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে ষাটোর্দ্ধ বৃদ্ধ ও তার পূত্রবধূকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে রিয়াদ ও লতিফুর রহমানের বিরুদ্ধে। আহত বৃদ্ধ বর্তমানে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও তার পূত্রবধূ রংপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন আছেন।

গত শনিবার(২৫ নভেম্বর)বিকেলে উপজেলার কেতকীবাড়ি এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এছাড়া ওই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান আহত বৃদ্ধের ছেলে আমিনুর রহমান।
অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার কেতকীবাড়ী এলাকার আজগার আলী মেকারের ছেলে রিয়াদ ও লতিফুর। আর আহতরা হলেন, উপজেলার একই এলাকার বাসিন্দা ষাটোর্দ্ধ বৃদ্ধ আব্দুল গফুর ও তার পূত্রবধূ ফেরদৌসি আক্তার মঞ্জু(৩৫)।

জানা গেছে, অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীদের বাড়ি পাশাপাশি। ভুক্তভোগী আব্দুল গফুর গত শনিবার বিকেলে তার বাড়ির জমির সীমানায় বেড়া লাগাতে যান। এ সময় অভিযুক্তরা ওই জমি তাদের দাবি করে বেড়া লাগাতে বাধা দেন। এ নিয়ে তাদের মাঝে বাকবিতন্ডা বাধে। এর এক পর্যায়ে রিয়াদ ও লতিফুর ওই বৃদ্ধকে মারধর শুরু করে। এতে করে বৃদ্ধের মাথা ফেটে জখম হয়। বৃদ্ধের চিৎকার শুনে তাকে বাচাতে ছুটে আসেন তার পুত্রবধু। এ সময় তাকেও মারধর করা হয়। এতে ওই নারীর হাত ভেঙ্গে যায়।

এ বিষয়ে আহত বৃদ্ধা আব্দুল গফুর বলেন, আমার জমির পাশে তাদেরও জমি রয়েছে। কিন্ত আমি তো আমার জমির সীমানায় বেড়া লাগাচ্ছিলাম। কিন্ত তারা এসে তাদের জমি দাবি করে বাধা দেয়। বাধা না মানলে তারা আমাকে ও আমার ছেলে বউকে মারধর করে। আমার মাথা ফেটে গেছে ও আমার ছেলের বউয়ের হাত ভেঙ্গে গেছে।

এ বিষয়ে আহত ফেরদৌসি আক্তার মঞ্জু বলেন, তারা যখন আমার শশুড়কে মারধর শুরু করে আমি আমার শশুরের চিৎকার শুনে ছুটে যাই। কিন্ত তারা আমাকে মারধর শুরু করে। তারা আমার হাত ভেঙ্গে দিছে।

এ বিষয়ে আহত বদ্ধের ছেলে আমিনুর রহমান বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না। এরই মধ্যে এমন ঘটনা। আমি খবর শুনে হাসপাতালে গিয়ে দেখি আমার বাবার মাথা ফেটে গেছে আর আমার স্ত্রীর হাত ভেঙ্গে গেছে। আমি বর্তমানে স্ত্রীকে নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছি। এখান থেকে ফিরে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করবো।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রিয়াদ হোসেন বলেন, তাদের সাথে আমাদের জমি নিয়ে আগে থেকেই ঝামেলা চলছে। তারা আমাদের জমিতে বেড়া দিতে আসছিলো তাদের বাধা দিয়েছি। এ নিয়ে শুধু ধস্তাধস্তি হয়েছে। কোন মারধর করা হয়নি।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনারুল হক বলেন, আহত বৃদ্ধকে হাসপাতালেই চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। আর মঞ্জু নামের এক নারীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version