দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের জন্য চার দিনে ৩ হাজার ৩৬২টি ফরম বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ।
গত শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে শুরু হওয়া আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রি এবং জমাদান কার্যক্রম শেষ হয় মঙ্গলবার (নভেম্বর ২১) বিকেলে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সরাসরি এবং অনলাইনে এসব মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে আওয়ামী লীগ।
এর মধ্যে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রশাসনিক বিভাগ অনুযায়ী নির্ধারিত বুথ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ৩ হাজার ২৪১ জন। অনলাইনে কিনেছেন ১২১ জন। এতে ক্ষমতাসীন দলটির আয় হয়েছে ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে শেষদিন মঙ্গলবার ৩৪৫টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি থেকে আয় হয় ১ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ৩০০ আসনের বিপরীতে প্রতিটিতে গড়ে ১১ জনের বেশি মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছে ক্ষমতাসীন দলে। দলের নেতা-মন্ত্রী ছাড়াও শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, সাংবাদিক, চলচ্চিত্র ও ক্রীড়াঙ্গনের জনপ্রিয় তারকাসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ফরম কিনেছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া গণমাধ্যমকে জানান, গত চার দিনে সর্বমোট তিন হাজার ৩৬২ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন এবং জমা দিয়েছেন। এতে পাওয়া গেছে মোট ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
বিপ্লব বড়ুয়া আরও জানান, ঢাকার ৭৩০ জন, চট্রগ্রামের ৬৫৯ জন, রাজশাহীর ৪০৯ জন, খুলনার ৪১৬ জন, রংপুরের ৩০২ জন, ময়মনসিংহের ২৯৫ জন, সিলেটের ১৭২ জন, বরিশালের ২৫৮ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। অনলাইন আবেদন করেছেন ১২১ জন। ৷
শনিবার গোপালগঞ্জ-৩ আসনের (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া উপজেলা) জন্য শেখ হাসিনার পক্ষে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দীন আহমদ।
নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা) আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল নেতাসহ নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে আগ্রহী অনেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ উপলক্ষে গত চারদিন বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছিল লোকজনের ভিড়। ।
নেচে-গেয়ে, মিছিল করে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন অনেক প্রার্থী এবং প্রার্থীর পক্ষের নেতাকর্মী-সমর্থকরা।
সমর্থিত প্রার্থীর ছবি, আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রতীক নৌকার ছবি, নৌকার প্রতিকৃতি নিয়ে আসেন অনেকে। ব্যান্ড পার্টি, ঢাক-ঢোলসহ বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নির্বাচনী উৎসব করেন তারা।