তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারের জুড়ীতে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৭ম পর্যায়) ইসলামিক ফাউন্ডেশন জুড়ী- উপজেলায় ২০২৩ সনের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্রের নানান অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে চালিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ৮নং গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ জালালপুর জামে মসজিদ কেন্দ্রের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক ছামাদুল ইসলাম নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখেন না, সে সাথে দীর্ঘদিন থেকে শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ রেখে সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন। এভাবে বন্ধ রাখার ফলে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

পশ্চিম শিলুয়া দারুল আরকান (ইবতেদায়ী) মাদ্রাসা কেন্দ্রের প্রাক-প্রাথমিক এর শিক্ষক তিনি সোহেল আহমদ প্রতিদিন সকাল ১০টায় কার্যক্রম চলমান রাখেন। কিন্তু তিনি নির্ধারিত সময়ে পাঠদান নেই বললেও চলে।
গ্ৰামবাসীর মধ্যে লোকজনের কাছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করা সত্ত্বে এসব অভিযোগ সত্যতা স্বীকার করেন। এবং অভিযোগ করেন।

পূর্ব জুড়ী ২নং ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ধামাই জামে মসজিদ কেন্দ্রের প্রাক-প্রাথমিক এর শিক্ষক আব্দুর রহমান খাঁন তিনিও নিয়মিত পাঠদান চলমান রাখেন না।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উক্ত কেন্দ্রে কোন ছাত্র ছাত্রী ও নেই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আব্দুর রহমান জানান, ছাত্র ছাত্রীদের ছুটি দিয়েছেন সকাল ১০টায়। পরে তিনি সবজি চাষে ছিলেন।
উল্লেখ্য; সকাল ৯টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সময়সূচি নির্ধারিত। কিন্তু তারা নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন না।

৫নং জায়ফরনগর ইউনিয়নের লামাবাজার জামে মসজিদ কেন্দ্রের শিক্ষক হাফিজুর রহমান তিনি প্রতিনিয়ত পাঠদান বন্ধ রাখেন। ভোগতেরা জামে মসজিদ কেন্দ্রের শিক্ষক আয়াজ আলী তিনি মাঝে মধ্যে পাঠদান বন্ধ রাখেন।

এছাড়াও মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৭ম পর্যায়) ইসলামিক ফাউন্ডেশন জুড়ী- উপজেলায় ২০২৩ সনের সহজ কোরআন শিক্ষা কেন্দ্রের ৫নং জায়ফর নগর ইউনিয়নের পোষ্ট অফিস জামে মসজিদ কেন্দ্রের শিক্ষক শাহীন আহমদ নিয়মিত পাঠদান অব্যাহত রাখেন না তিনি হুজরায় ঘুমিয়ে থাকেন। সরেজমিনে ঘুরে দেখি শাহীন, এ প্রতিবেদকে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন।

দক্ষিণ জায়ফরনগর জামে মসজিদ কেন্দ্রের শিক্ষক কামরুল ইসলাম, তিনি নিয়মিত পাঠদান চলমান রাখেন না। সরেজমিনে ঘুরে দেখি একাধিক বার, তিনি মসজিদে নাই। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মুঠোফোনে কথা হয়, কামরুল ইসলাম এর সাথে তিনি বলেন ব্যাক্তিগত কাজে সিলেটে গেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ফিল্ড সুপারভাইজার বড়লেখা ও জুড়ী মো: হাবিবুর রহমান বলেন আমার বড়লেখা ও জুড়ী দুই উপজেলার দায়িত্ব থাকাতে টেলিফোনে যোগাযোগ এর মাধ্যমে খোঁজ খবর নেই। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, ইসলামিক ফাউন্ডেশন মৌলভীবাজার জেলা উপ-পরিচালক মো: আনোয়ারুল কাদির বলেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কেন্দ্র বাতিল করা হবে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version