রুহুল আমিন, ডিমলা(নীলফামারী)

নীলফামারী ডিমলায় সরিষা বারী ১৪ চাষ করে বীজ উৎপাদন করে বিপননে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ম্নাতোকোত্তর কৃষক সুব্রত রায়। রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে রসায়নে স্নাতোকোত্তর করে হয়েছেন কৃষক।

সরিষায় উৎপাদন খরচ কম ও অধিক লাভজনক হওয়ায় ধানের পাশাপাশি সরিষা চাষ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এই উপজেলায়।গত বছর এ উপজেলায় সরিষা চাষ হয়েছিল ৯৭৫ হেক্টর জমিতে। ডিমলা উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গৌরাঙ্গ চন্দ্র রায় ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দার আলীর উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে এ চাষে মনোনিবেশ করেন তিনি।

সুব্রত রায় নিজের জমিতে সরিষা চাষ শুরু করেন ২০২০ সালে। এরপর ২০২২ সালে নিজের ১০০ শতাংশ জমিতে সরিষা বারী ১৪ চাষ করে লাভবান হন। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে ১০ একর জমিতে চাষ করে সরিষা পান ১৬০ মন। সেখান থেকে বাছাই করে বীজের জন্য নিবার্চন করেন ১০০ মন সরিষা।
এরপর উন্নত প্রশিক্ষন গ্রহনের মাধ্যমে নিজ বাড়ীতে গড়ে তুলেছেন ক্ষুদ্র বীজ উৎপাদান কেন্দ্র। বীজ প্রত্যয়ন কেন্দ্র থেকে বীজ বাজারজাত করণের অনুমতি পেয়ে বাজারজাত করছেন নিয়মিত। বীজ উৎপাদনে ২০২৩ সালে নীলফামারী জেলায় প্রথম স্থান অর্জন করেন এই উদ্দ্যোক্তা।

কৃষক সুব্রত বলেন, আমন ও ইরি ধানের মধ্যবর্তী যে সময়ে জমি পতিত থাকে সে সময়টিতে সরিষার চাষ হয় জন্যই তেমন কোনো উৎপাদন খরচ নেই। বোনাস ফসল হিসেবে এটা পেয়ে থাকে কৃষক। এছাড়াও সরিষার পাতা ডাল জমিতে জৈব সারের অভাব পূরণ করে। ফলে এ চাষ দিনদিন কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

তার এ পন্য নিজ জেলা ছাড়াও পাশের বিভিন্ন জেলার কৃষকেরা ব্যবহার করছেন। তিনি আশা করছেন উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে এ বছর সরিষা বিক্রয় করে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা লাভ করবেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার সেকেন্দার আলী জানান, তিনি কৃষি বিভাগের পরামর্শে সরিষা ও ধান বীজ সফলতার সাথে উৎপাদন করে আসছেন। বর্তমানে তিনি বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বীজ বিপনন করছেন। একজন সফল উদ্দোক্তা গড়ার লক্ষ্যে আমরা উনাকে সহযোগীতা করে আসছি। তার এই উদ্দ্যোগ এলাকার তরুন শিক্ষিত বেকার যুবকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি করেছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version