১৪৯ রানে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের জয় । চেন্নাইয়ে বুধবার ২৮৮ রানের পুঁজি গড়ে প্রতিপক্ষকে তারা গুটিয়ে দেয় স্রেফ ১৩৯ রানে।

রানের হিসাবে বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় বড় জয় এটি। ১৯৭৫ আসরে ইষ্ট আফ্রিকার বিপক্ষে ১৮১ রানের জয় আছে চূড়ায়।

চলতি আসরে নিজেদের প্রথম চার ম্যাচেই জিতে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে উঠল নিউজিল্যান্ড।

৮০ বলে ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৭১ রানের ইনিংস খেলে ব্যাটিংয়ে নিউ জিল্যান্ডের নায়ক গ্লেন ফিলিপস। ছয় নম্বরে যখন ক্রিজে যান তিনি, দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে দল। সেখান থেকে টম ল্যাথামের সঙ্গে উপহার দেন ১৫৩ বলে ১৪৪ রানের দারুণ এক জুটি।

ল্যাথাম ৭৪ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় খেলেন ৬৮ রানের ইনিংস। ফিফটি করেন ওপেনার উইল ইয়াংও (৬৪ বলে ৫৪)।

৪ উইকেটে ১১০ রানের নড়বড়ে অবস্থান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তিনশর কাছাকাছি সংগ্রহ পায় কিউরা।

পরে বোলিংয়ে ভালো করেন তাদের সবাই। পেসার লকি ফার্গুসন ও স্পিনার মিচেল স্যান্টনার ধরেন সর্বোচ্চ ৩টি করে শিকার।

বিবর্ণ ব্যাটিংয়ের পাশপাশি আফগানিস্তানের হারে বড় দায় তাদের হতশ্রী ফিল্ডিংয়ের। ৫ থেকে ৬টি ক্যাচ ফেলে তারা।

নিউজিল্যান্ড এ দিন ব্যাটিংয়ে নামে টস হেরে। সপ্তম ওভারে ডেভন কনওয়েকে ফিরিয়ে আফগানিস্তানকে প্রথম সাফল্য এনে দেন মুজিব উর রহমান। তিনে নামা রাচিন রবীন্দ্রকেও দ্রুত ফেরানোর সুযোগ আসে, কিন্তু ক্যাচ ফেলেন হাশমাতউল্লাহ শাহিদি।

শুরুর ধাক্কা সামলে ৭৯ রানের জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন ইয়াং ও রবীন্দ্র। এরপরই নামে ধস। আজমাতউল্লাহ ওমারজাইয়ের একই ওভারে বিদায় নেন দুই থিতু ব্যাটসম্যান। ড্যারিল মিচেলকে টিকতে দেননি রাশিদ খান।

১ উইকেটে ১০৯ থেকে নিউজিল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ৪ উইকেটে ১১০! অল্পে গুটিয়ে যাওয়ার রাঙানি তাদের সামনে।

সেটি হতে দেননি ফিলিপস ও ল্যাথাম। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তোলেন দুজন।

ভাগ্যের সহায়তাও পান ল্যাথাম। ৩৬ ও ৩৮ রানে ক্যাচ তুলে বেঁচে যান তিনি প্রতিপক্ষের ফিল্ডারদের ব্যর্থতায়। দুবারই বোলার ছিলেন রাশিদ।

ফিলিপস ফিফটি করেন ৬৯ বলে। পঞ্চাশ ছুঁতে ল্যাথামের লাগে ৬৭ বল। শেষ দিকে নাভিন-উল-হকের একই ওভারে ফেরেন দুজনই।

দ্রুত দুই থিতু ব্যাটসম্যানকে হারালেও মার্ক চ্যাপম্যানের ১২ বলে অপরাজিত ২৫ রানের ক্যামিও ইনিংসে ২৮৮ পর্যন্ত যায় নিউজিল্যান্ড।

আফগানিস্তানের রান তাড়ায় রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৭ রান। ওই স্কোরেই ফেরেন এই দুজন। অধিনায়ক শাহিদিও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ।

৪৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ৫৪ রানের একটা জুটি গড়েন রেহমাত শাহ ও ওমারজাই। কিন্তু এ জুটি ভাঙার পর নিয়মিত উইকেট হারিয়ে দেড়শর আগে থমকে যায় তাদের ইনিংস। রেহমাতের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৩৬ রান।

আসরে চার ম্যাচে আফগানিস্তানের তৃতীয় হার এটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

নিউজিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৮৮/৬ (কনওয়ে ২০, ইয়াং ৫৪, রবীন্দ্র ৩২, মিচেল ১, ল্যাথাম ৬৮, ফিলিপস ৭১, চ্যাপম্যান ২৫*, স্যান্টনার ৭*; মুজিব ১০-০-৫৭-১, ফারুকি ৭-১-৩৯-০, নাভিন ৮-০-৪৮-২, নাবি ৮-১-৪১-০, রাশিদ ১০-০-৪৩-১, ওমারজাই ৭-০-৫৬-২)

আফগানিস্তান: ৩৪.৪ ওভারে ১৩৯ (রহমানউল্লাহ ১১, ইব্রাহিম ১৪, রেহমাত ৩৬, শাহিদি ৮, ওমারজাই ২৭, ইকরাম ১৯*, নাবি ৭, রাশিদ ৮, মুজিব ৪, নাভিন ০, ফারুকি ০; বোল্ট ৭-১-১৮-২, হেনরি ৫-২-১৬-১, স্যান্টনার ৭.৪-০-৩৯-৩, ফার্গুসন ৭-১-১৯-৩, ফিলিপস ৩-০-১৩-০, রবীন্দ্র ৫-০-৩৪-১)

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version