‍ঢাকা, ২৮ আশ্বিন (১৩ অক্টোবর) :

বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় সারা দেশে আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২৩’ পালিত
হয়েছে। কর্মসূচিসমূহের মধ্যে ছিল সুভেনির প্রকাশ, ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন, সিপিবির স্বেচ্ছাসেবক পুরস্কার বিতরণ, ক্রোড়পত্র
প্রকাশ, পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ, আলোচনা অনুষ্ঠান, গোলটেবিল বৈঠক, ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি মহড়া, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার ইত্যাদি ।

দিবসটি উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে আজ ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ
এনামুর রহমান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি’র সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম এমপি ও সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংঘটিত হয়ে থাকে। এ বিষয়টি
চিন্তা করে দূরদর্শী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এদেশে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস কর্মসূচির মূল ভিত্তি গড়ে গেছেন,তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও সুশাসনে আজ তা এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, পরিশ্রম, দূরদর্শী পরিকল্পনা ও নতুন নতুন কৌশলকে কাজে লাগিয়ে বর্তমান সরকার আজ দেশকে সারা বিশ্বের কাছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় অনুকরণীয় রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।


প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, যে কোনো দুর্যোগে যথাযথ পূর্বাভাস, প্রস্তুতি ও ঝুঁকিহ্রাস করে জনগণের জনমালের ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারের নীতি পরিকল্পনায় ইতোমধ্যে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস কৌশল অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং সবধরনের দুর্যোগের প্রস্তুতিতে সরকার বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। দেশবাসীকে আগাম সর্তকর্বাতা দিতে দেশের ৮ টি স্থানে পরীক্ষামূলকভাবে বজ্রপাত চিহ্নিতকরণ যন্ত্র বা লাইটেনিং ডিটেকটিভ সেন্সর বসানো হয়েছে। এছাড়া বজ্রপাতপ্রবণ ১৫ টি জেলায় ৩৩৫টি বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন করা হয়েছে। সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য National Emergency Operation Centre (NEOC) প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়েছে, Humanitarian Staging Area  স্থাপনের কাজও চলমান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরে তুরস্ক ও সিরিয়ায় সংঘটিত ভয়াবহ ভূমিকম্প, মিয়ানমারে সংঘটিত ঘূর্ণিঝড় এবং সম্প্রতি লিবিয়ায় সংঘটিত ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সহায়তা ও উদ্ধারকারী দল প্রেরণ করা হয়েছে। এতে বহিঃর্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হয়েছে এবং দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনায় আমাদের সক্ষমতার পরিচিতি বৃদ্ধি পেয়েছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version