দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

পবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যক্তিগত সম্পর্কের খাতিরে মাস্টার রোলের চার কর্মকর্তা- কর্মচারীকে প্রতি মাসে ৪৫ দিনের বেতন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

রেজিস্ট্রার অফিসের তথ্য মতে, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন দপ্তরের ছাব্বিশ (২৬) জন কর্মকর্তা-কর্মচারী মাস্টাররোলে কর্মরত আছেন। তাদের সকলের মাসিক বেতনের হিসাব ত্রিশ (৩০) দিনে হলেও চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারী একদিন অফিস করে বেতন পান দেড় দিনের অর্থাৎ একমাস অফিস করে ৪৫ দিনের বেতন নিচ্ছেন। ৪৫ দিন বেতন পাওয়া ডকুমেন্টস প্রতিবেদকের কাছে আছে।

জানা যায়, প্রায় এক যুগ ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার রোলে চাকুরী করলেও বর্তমান প্রশাসন তাদেরকে অধিক বেতন দিচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় তাদেরকে বেশী বেতন দিচ্ছেন। আরো অভিযোগ রয়েছে, এসব অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে কেউ কেউ মাসে দশ দিনও অফিসে উপস্থিত থাকেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জান যায়, আয়শা সিদ্দিকা, মো. শামসুল হক (রাসেল), মোঃ সুমন হোসেন, নাসরিন আক্তার অতিরিক্ত বেতন পাচ্ছেন।

আয়শা সিদ্দিকা কর্মকর্তা পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাদল এর স্ত্রী। এছাড়াও রয়েছেন রেজিস্ট্রার অফিসের সংস্থাপন শাখার মো. শামসুল হক (রাসেল) শিক্ষা ও বৃত্তি শাখার নাসরিন আক্তার এবং পরিবহন শাখার ড্রাইভার মোঃ সুমন হোসেন।

অন্তত দশ(১০) জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান এই চারজনকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ায় উদ্দেশ্যে এই অবৈধ নিয়মের চালু করেছিলেন। অনতিবিলম্বে এই নিয়ম বাতিল করা হোক এবং অতিরিক্ত অর্থ ফেরত নেওয়া হোক। এদের অনেকেই বিশেষ সুবিধা পাওয়া ফলে সিনিয়র অনেক অধ্যাপকের সাথে খারাপ ব্যবহার করছেন। এমনকি সিনিয়র এক শিক্ষকদের গায়ে হাত দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।

এবিষয়ে মো. শামসুল হকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,” আমি ক্যাম্পাসের প্রথম ব্যাচের ছাত্র। দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার রোলে কাজ করছি। প্রশাসন ভালো মনে করেই অতিরিক্ত বেতন দিচ্ছে।” নিয়মিত অফিস না করার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমার সিনিয়র কর্মকর্তা আছে, এবিষয় তারা দেখবেন৷”

এবিষয়ে আয়শা সিদ্দিকার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “মাঝেমধ্যে আমাদেরকে অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। এজন্য আমরা বেতন বেশি পাচ্ছি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসুকে কয়েকবার ফোন দেওয়া পরে সে ফোন ধরে বিরক্ত দেখিয়ে ফোন কেটে দেয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন,”ঐ চারজন নির্ধারিত আট ঘন্টার পরে অতিরিক্ত সময় কাজ করেন তাই তাদেরকে বেশী বেতন দেওয়া হচ্ছে।” কিন্তু নির্ধারিত সময়েও তারা অফিস করেননা, অতিরিক্ত কাজ কিভাবে করেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,” এটা করলে তারা বেতন পাবেনা। বিভিন্ন কারণে তাদের চাকুরি স্থায়ী হয়নি তাই সিম্প্যাথি থেকে তাদেরকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।”

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওাল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2025 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version