স্টাফ রিপোর্টার : সকালে খেলার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন ১০ বছর বয়সী শিশু শাওন হাসান ফাহিম। দুপুর পেরিয়ে গেলেও বাড়িতে না ফেরায় দুরচিন্তায় পড়ে খুঁজছিল পরিবারের লোকজন। কোথাও না পেয়ে বাড়ির পাশেই পুকুর পাড়ে এক জুতা ও পুকুরের পানিতে অপর জুতা ভাসতে দেখে পানিতে তল্লাশি চালানো হয়। পরে পুকুরেই মিললো শিশুর নিথর দেহ।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড়ের মধুয়াকোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফাহিম ওই গ্রামের আবু বক্করের বড় ছেলে এবং মধুয়াকোনা আলিয়া মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওইদিন সকালে বাড়ি থেকে বের হয় শিশু ফাহিম। পরে তাকে খুঁজে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কোথাও খুঁজে না পেয়ে একপর্যায়ে তারা বাড়ির পাশে পুকুরের কাছে ফাহিমের এক জুতা ও পানিতে অন্য পায়ের জুতা পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় পুকুরে নেমে খোজাঁখোঁজি করলে পানির নিচে ফাহিমের মৃত দেহ খুঁজে পায়। পরে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন।
মৃত শিশু ফাহিমের ফুফাতো ভাই জুয়েল মিয়া বলেন, প্রথমে পুকুর পাড়ে ফাহিমের জুতা দেখে সন্দেহ জাগে। পরে পানিতে আরেকটি জুতা দেখতে পেয়েই পুকুরে নেমে খোঁজাখুঁজি করলে একজনের পায়ে ফাহিমের মৃত দেহ লেগে যায়। তিনি আরও বলেন, ফাহিমের খেছুনী রোগ ছিল। ধারনা করা হচ্ছে পুকুরে যখন সে নেমেছে তখনই খেছুনী শুরু হলে পুকুরের পানিতে ডুবে যায়।
ইউপি সদস্য মো. মুকছেদুল হক বলেন, এ ঘটনাটি খুবই বেদনা দায়ক। সকলের সহায়তায় ফাহিমের মরদেহ বাড়িতে আনা হয় এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগন প্রশাসনের সাথে কথা বলে শুক্রবার রাতেই ফাহিমের জানাজা সম্পন্ন করেছে বলে জানান তিনি।