আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গরীব ও অসহায় রোগীদের একমাত্র ভরসাস্থল। কিন্তু এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন রোগীরা। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পরিচ্ছন্নতাকর্মী দিয়ে চলছে রোগীর সেলাই। একটি ২মিনিট ভিভিওতে দেখা যাই পরিচ্ছন্নতাকর্মী মিটু এক মহিলা রোগীর হাতের আঙ্গুল সেলাই করছে। এ কাজ করে রোগীদের কাছ থেকে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্যান্য সেবা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা। বিশেষ করে জরুরি বিভাগের সেবার বিষয়ে কথা বলেন রোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালে ভূতড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ময়লা-আবর্জনা। কয়েকটি বেডের উপরে শুয়ে আছে বিড়াল। ফাঁকা শয্যায় তারা আয়েশ করছে। ওয়ার্ডে ও রোগীর বিছানায় বিড়াল কুকুর বিচরণ করলেও দেখার যেন কেউ নেই। হাসপাতালের মেঝেতে বিড়ালের মলসহ নোংরা আবর্জনা ও দুর্গন্ধময় পরিবেশ বিরাজ করছে। রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন হাসপাতালের বিছানা ও পরিবেশ এমন অবস্থায় রয়েছে রোগীর সাথে আসা একজন সুস্থ মানুষও হাসপাতালে এসে অসুস্থ হয়ে পড়বে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ অবস্থা তখন পরিচ্ছন্নকর্মী মিটু ডাক্তার ভুমিকায় রোগীর সেলাই ডিসেন ব্যস্থ।

এ বিষয় পরিচ্ছন্নকর্মী মিটু কাছে জানতে চাইছে অভিযোগ স্বীকার করে বলেন,জনবল সংকটের কারণে রোগীর চাপ থাকলে তিনিই ডাক্তারকে সহযোগিতা করেন। রোগীর সেলাই ওষুধ দিয়ে থাকেন বলে অকোপটে স্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ জানান, পরিচ্ছন্নকর্মী মিটু ত সেলাই করতে পারে না তদন্তপূর্বক বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version