নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় আকস্মিক ঝড়-বৃষ্টিতে বাড়িঘর ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রোববার রাত পৌনে ৩টা থেকে ঝড় শুরু হয়ে চলে প্রায় ৪০ মিনিট। ঝড়ের কবলে পড়ে অনিল দাস (৪৫) নামের এক মৎস্যজীবী সোনাডুবি বিলে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন। অনিল দাস কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের গুজাকুলিয়া গ্রামের মৃত ঈশ্বর দাসের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, ঝড়ে উপজেলার আটটি ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। কয়েক’শ গাছ উপড়ে গেছে। কিছু গাছ ভেঙে বসতঘরের ওপরে পড়েছ। একই সঙ্গে পল্লীবিদ্যুতের তারে গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে। এতে বিছিন্ন হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সংযোগ।
উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক তালুকদার বলেন, রাত প্রায় পৌনে ৩টার দিকে ঝড় শুরু হয়। প্রায় ৪০ মিনিট স্থায়ী ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে। এতে গাছপালাসহ বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে কিছু বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় ও তার ছিঁড়ে যাওয়ায় উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
নিখোঁজ অনিল দাসের বিষয়ে কলমাকান্দা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ এমদাদুল হক বলেন, খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জের একটি ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়েছে।
কলমাকান্দা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) তাপস দেবনাথ বলেন, ‘ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন কাজ করছে। আশা করছি (আজ) সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।’
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান বলেন, ঝড়ে বেশ কিছু এলাকায় ঘরবাড়িসহ গাছপালার ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ বিবরণ এখনও পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।