শুভ তংচংগ্যা, জেলা প্রতিনিধি বান্দরবান। বান্দরবানে টানা চারদিনের অবিরাম বর্ষণে বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে বান্দরবান জেলা শহরের ইস্টেডিয়াম, বীর বাহাদুর নগর এলাকায় পাহাড় ধসে দুইজন আহত হয়। আহতরা হলেন, রুমি আক্তার (২৮), মোঃ রিদোয়ান (১৯) অন্যদিকে নাইক্ষ্যংছড়ির করিমার ঝিরি জসিম উদ্দিনের মাটির বাড়িতে দুপুরে পাহাড় ধসে পড়ে ঘরে থাকা তার স্ত্রী রোকসানা (২৪), তার মেয়ে আনিকা (৮), জেসমিন (৬), শাহাজালাল (দেড় বছর) আহত হয়েছে রবিবার বান্দরবান শহরের ইস্টেডিয়াম এলাকায় ও বীর বাহাদুর নগরে বসতবাড়ির উপর পাহাড় ধসে পড়ে, এসময় মোঃ রিদোয়ান ও রুমি আক্তার আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভারপ্রাপ্ত ইফতিয়াক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত চব্বিশ ঘন্টায় ১৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা এবছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত এ জেলায় জানিয়েছেন বান্দরবান মৃত্তিকা পানি সংরক্ষণ কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহাবুবুল ইসলাম। এদিকে টানা বৃষ্টিতে জেলা সদরের লেমুঝিরি এলাকা, বালাঘাটা, কালাঘাটা, হাফেজঘোনা বনরুপা পাড়া,কানা পাড়া, ইসলামপুরসহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ভারী বর্ষণে বান্দরবানে সাঙ্গু নদীর পানিও বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে শহরের আর্মিপাড়া, ইসলামপুর, লাঙ্গী পাড়াসহ নদীর তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নিন্মঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় এবং পাহাড় ধসের ঝুঁকি থাকায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে দেড় শতাধিকের মত লোকজন। প্রাণহানির আশঙ্কায় পাহাড় ধস এবং নদীর তীরবর্তী এলাকার লোকজনদের ঝুঁকিপূর্ণ বস্তিগুলো ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। এই ব্যাপারে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে বান্দরবান জেলার ৭টি উপজেলায় অবিরাম বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার সাতটি উপজেলায় ১৯৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। দূর্গত মানুষদের জন্য নগদ ১ লাখ টাকা ২০ মেঃ টন খাদ্য শস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৪৩ টি মেডিকেল টীম। দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের।