নোয়াখালী প্রতিনিধি -মোহাম্মদ শহিদ

নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড করমবক্স বাজারের পাশে খালের উপর ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য কালভার্ট ব্রীজ নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে।

সেতু নির্মাণ কাজের দুই মাসের মাথায় ভাঙন দেখা দিয়েছে সেতুর সংযোগ সড়কে প্রবল বৃষ্টি তে ধসে গেছে। সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কে এতে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এলাকাবাসী বলেন ব্রীজটা করার কথা ছিল রাস্তার পাশে কিন্তু ব্রীজ টা করছেন খালের মধ্যে খানে এটা ঠিকাদারের দায়ী না যারা ইঞ্জিনিয়ার বা যারা নিয়ন্ত্রণ করছে।

তাদের দায়িত্ব তারা প্রতিনিয়ত এসে দেখছেন ব্রীজটা কোথায় করা হচ্ছে তারা বেচা বিক্রি হয়ে গেছে এই কারণে তারা নীরব হয়ে গেছে সাধারণ জনগণ কে ধোকা দিয়ে চলে গেছে তারা।

সরকারের এত লাখ টাকা খরচ করে জনগণের জন্য ব্রীজ নির্মাণ করে গেছে জনগণ যদি চলাচল করতে না পারে তাহলে সরকারের এত লাখ খরচ করে কী পয়দা হয়েছে

স্থানীয় এলাকাবাসী আরো বলেন, ৮০ লাখ ৯৯ হাজার ৪৪৩ টাকা প্রকল্পের ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে স্থানীয় ঠিকাদার কবির হাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কামাল কোম্পানি তিনি তার প্রভাব ক্ষমতা ব্যবহার করে গেছেন এবং এলাকাবাসী কে হুমকি দুমকি দিয়ে গেছেন। সংযোগ সড়কটি ঠিক মতো না করে দায়সারা ভাবে কাজ করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদারের নিম্নমানের কাজের কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে

এলাকাবাসীর দাবি সংযোগ সড়কের দুই পাশে স্থায়ী গাইডওয়াল নির্মাণ করা। না করা হলে মেরামত করা হলে আবারো ধসে যেতে পারে।

৮০লাখ ৯৯হাজার ৪৪৩টাকা প্রকল্পের কাজটি ছিল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে প্রকল্পটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ছিলেন মেসার্স মা এন্টারপ্রাইজ ও তত্বাবধায়নে ছিল কবির হাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যলায়।

এই বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শেখ বোরহান উদ্দিন কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন ঠিকাদারের ১০% জামানত জমা আছে এবং ঠিকাদার কে বলা হয়েছে ব্রীজের অসম্পূর্ণ কাজ গুলো সম্পূর্ণ করে দেওয়ার জন্য কিন্ত কবির হাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতিমা সুলতানা বলেন ঠিকাদারের ৫% জামানত জমা আছে এবং ঠিকাদার কে এই বিষয় বলার পর তিনি বলছেন বর্ষাকাল শেষ হলে ব্রীজের পাশে মাটি ধসে পড়া ঠিক করে দিবে বলে জানান তিনি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version