ঠান্ডা, কাশি, ইনফেকশনের কারণে মানুষকে পোহাতে হয় ঘন ঘন জ্বর। জ্বরের কবলে পড়লে সপ্তাহখানেক বিছানায় পড়ে থাকা স্বাভাবিক ব্যাপার। জ্বরের সময় হাত পা ব্যথা, মাথা ব্যথা, মুখে তিতে ভাব, সারা শরীরে ব্যথা হয়েই থাকে। জ্বরে খাবারে অরুচি সৃষ্টি হয় যার ফলে খাবার ভালো ভাবে হজম হয়না৷ তবে এ নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তার কারণ নেই৷ ঘরোয়া কিছু উপায় মেনে চললে খুব সহজেই আপনি মুক্তি পেতে পারেন জ্বরের পর খাবারের অরুচি থেকে। আসুন জেনে নিই ঘরোয়া কিছু উপায়:

– লবঙ্গ চিবোতে পারেন। লবঙ্গ ও দারচিনি গুঁড়া করে চামচে করে মুখে দিয়ে রাখতে পারেন। এতে করে খুব সহজেই মুখের তিতা ভাব কেটে যাবে এবং মুখের স্বাদ ফিরে আসবে। জ্বরে খাবারের অরুচি দূর হবে।

– মুখের তিতাভাব দূর করতে এবং স্বাদ ফিরিয়ে আনতে ঠিকমতো দাঁত ব্রাশ করুন। দিনে দু’বার দাঁত ব্রাশে মুখের তিতা ভাব দূর হয় এবং খাবারে অরুচি দূর হয়। এছাড়া জিভ ও মাড়ি পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন।

– লেবু জাতীয় ফল বেশি বেশি খান। এতে করে মুখের লালা নির্গত হয় এবং মুখের তিতা ভাব কেটে যায়। কমলালেবু, বাতাবিলেবু খেতে পারেন। এতে খাবারে রুচি আসে।

– বেকিং সোডা মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়তা করে। সমপরিমাণ টুথপেষ্ট ও বেকিং সোডা মিশিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে পারেন৷ অথবা বেকিং সোডা পানিতে গুলিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। এতেও উপকার পাবেন এবং সহজেই খাবারে অরুচি দূর হবে।

– মুখের স্বাদ ফিরিয়ে আনতে বারবার খাবার খান। অল্প পরিমাণে বারবার খাবার খেলে মুখের তিতা ভাব দূর হয়। ভাজা ও স্পাইসি খাবার না খেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খান। অল্প অল্প করে বারবার খাবার খেলে নিঃশ্বাসের গন্ধও দূর হয়৷ এবং এতে আস্তে আস্তে মুখের স্বাদ ফিরে আসবে।

– এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ লবণ দিয়ে গার্গল করতে পারেন। এতে করে সহজেই মুখের তিতা ভাব কেটে যাবে। মুখের তিতা স্বাদ কাটাতে সাহায্য করে পুদিনা। এতে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়, মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং খাবারে রুচি ফিরে আসে।

– প্রচুর পানি পান করুন। দিনে ৭-৮ গ্লাস পানি পান করুন। পাকস্থলী থেকে টক্সিন এসিড অপসারণ করে পানি৷ এতে মুখের ও জিভের তিতা ভাব কেটে যাবে।

– অনেকেই অনেক কারণ দেখিয়ে ধূমপান করে। কেউ বসে বসে বোর হয়ে যায় বলে, কেউ শরীরের ব্যথা কমাতে কিন্তু এতে মুখের স্বাদ নষ্ট হয় এবং তিতে ভাব বেড়ে যায়। তাই খাবারে রুচি কমে যায়।

– জ্বরের সময় ঠান্ডা খাবার না খেয়ে গরম ও হালকা খাবার খান। সবজি ও স্যুপ যেমন এ সময় স্বাস্থ্যকর তেমনি মুখের স্বাদ ফিরিয়ে আনে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version