সারাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এটি তীব্র সংক্রামক রোগ, কখনও কখনও মারাত্মকও । যেহেতু এটি মশা দ্বারা সংক্রামিত হয়, এ কারণে মশার প্রজননস্থল ধবংসে সচেতন হতে হবে। মশা যে কোনও জায়গায় বংশবৃদ্ধি করতে পারে। কর্মক্ষেত্রও এর ব্যতিক্রম নয়। এয়ার-কন্ডিশনার, ড্রেন, টয়লেট, পার্কিং এরিয়া সবই মশার সম্ভাব্য প্রজননক্ষেত্র। এছাড়াও, অনেক অফিসে বায়ুচলাচলের অভাব ডেঙ্গু ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

ভারতীয় চিকিৎসক ডা. সমীর দ্বিবেদী কর্মক্ষেত্রে ডেঙ্গু প্রতিরোধের কিছু টিপস জানিয়েছেন ‘হিন্দুস্তান টাইমসে’র এক প্রতিবেদনে। যেমন-

মশার প্রজনন স্থানগুলি নির্মূল করুন: অনেক অফিসেই ফুলদানি, টবে গাছ রাখা থাকে। এসব জায়গায় জমে থাকা বদ্ধ পানি মশার বংশবৃদ্ধির জন্য আদর্শ। এছাড়া টয়লেটের বালতিতেও পানি জমা থাকতে পারে। এমন হলে নিয়মিত পরীক্ষা করুন। পানি জমা থাকলে তা ফেলে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।

পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন: কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। যেকোন স্থানে ময়লা-আবর্জনা জমে থাকলে তা পরিষ্কারের উদ্যোগ নিন। কারণ জমে থাকা ময়লা পানি থেকে মশা জন্মাতে পারে।

জানালা এবং দরজার পর্দা লাগান
: কর্মক্ষেত্রে মশা যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য জানালা এবং দরজার পর্দা ঠিকভাবে লাগানো আছে কীনা তা নিশ্চিত করুন।

মশা নিরোধক ক্রিম ব্যবহার করুন: বাজারে বিভিন্ন ধরনের মশা নিরোধক ক্রিম, স্প্রে পাওয়া যায়। নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে এসব ব্যবহার করুন। মশার কামড়ের ঝুঁকি কমাতে সুরক্ষামূলক পোশাক পরুন।

সচেতনতা বাড়ান
: অফিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধের ব্যবস্থা, উপসর্গ, প্রাথমিকভাবে সনাক্তকরণ এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে সচেতনতামূলক প্রচার এবং প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করুন।

ডা. দ্বিবেদীর ভাষায়, মনে রাখবেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা, তাই এই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলি বাস্তবায়নে কর্মচারী, কর্মকর্তা এবং অফিস ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version