এবার ইউক্রেনের নিরাপত্তা জোট—ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার পক্ষে সমর্থন দিল তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, ইউক্রেন ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার যোগ্য। তুরস্ক ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে।

শনিবার দিনের প্রথম দিকে ইস্তানবুলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। খবর আলজাজিরা, রয়টার্সের।

রাশিয়া ও ইউক্রেনকে শান্তি আলোচনায় ফিরে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন এরদোগান।

শনিবার দিনের প্রথম দিকে ইস্তানবুলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান বলেন, ইউক্রেন যে ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার যোগ্য তাতে কোনো সন্দেহ নেই। দুই পক্ষের শান্তি আলোচনায় ফিরে যাওয়া উচিত।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুর্কি নেতা বলেন, একটি ন্যায্য শান্তি কোনো পরাজয় সৃষ্টি করে না।

আগামী মঙ্গলবার লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াসে শুরু হতে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের আগে জেলেনস্কি তুরস্ক সফরে রয়েছেন। আসন্ন বৈঠকে তিনি ইউক্রেনের জন্য ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন।

জেলেনস্কি এরদোগানকে তার সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমি ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ। শান্তির সূত্র হলো— আমাদের দেশ, আমাদের জনগণ এবং আমাদের স্বার্থের সুরক্ষা। এরদোগানের সঙ্গে তার আলোচনার বিষয়ে ইউক্রেনের নেতা একটি টুইটে এ কথা লেখেন।

ইউক্রেনের নেতা পশ্চিমা সামরিক জোটে তার বিপর্যস্ত দেশটিকে যোগ দেওয়াতে নিবিড়ভাবে লবিং করেছেন, এই যুক্তিতে যে ইউক্রেন রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউরোপের প্রতিরক্ষার শেষ লাইন হয়ে উঠেছে।

এরদোগান নিজেকে কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে একজন নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেন সবসময়। তবে অনেক বিশ্লেষক তুর্কি প্রেসিডেন্টকে সুবিধাভোগী বলে মনে করেন। কারণ দেশটি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধকালীন বাণিজ্যকে যথেষ্ট পরিমাণে বাড়িয়েছে। ইউক্রেনকে ড্রোন এবং অন্যান্য অস্ত্র সরবরাহ করেছে, যা যুদ্ধের প্রথম সপ্তাহগুলোতে ক্রেমলিন বাহিনীকে কিয়েভ দখল করতে বাধা দিয়েছিল।

যদিও তুর্কি নেতা দুই পক্ষের শান্তি আলোচনায় প্রবেশের জন্য তার দীর্ঘদিনের আহ্বানকে পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এরদোগান ইউক্রেনের ন্যাটো আকাঙ্ক্ষার জন্য দ্ব্যর্থহীন সমর্থন প্রদান করে পুতিনের ক্রোধের ঝুঁকি নিয়েছেন।

এরদোগান বলেন, পুতিন আগামী মাসে তুরস্ক সফর করবেন। তিনি এবং রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সম্ভাব্য বন্দিবিনিময় নিয়ে আলোচনা করবেন। এরদোগান অতীতেও এ ব্যাপারে সহায়তা করেছেন।

এরদোগান আরও বলেন, তিনি পুতিনকে কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি চুক্তি বাড়ানোর জন্য চাপ দেবেন। গত বছর তুরস্ক এবং জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি হয়েছিল। চুক্তিটি ১৭ জুলাই শেষ হবে, যদি রাশিয়া এটির মেয়াদ ফের বাড়াতে সম্মত না হয়।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version