স্টাফ রিপোর্টার : ‘আমিতো ভালা না ভালা লইয়া থাইক্যো’ জনপ্রিয় গানের স্রস্টা ও ভাটি বাংলার প্রখ্যাত সাধক আজাদ মিয়া মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার (৩০ জুন ২০২৩) দিনগত মধ্য রাতে তিনি নেত্রকোণার সদর উপজেলার খাটপুরা গ্রামের নিজ বাড়িতে যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।
সাধক আজাদ মিয়ার জন্ম ১৩৬৮ বঙ্গাব্দের ১৩ ভাদ্র নেত্রকোনা সদর উপজেলার খাটপুরা গ্রামে। তাঁর পিতা চান মিয়া এ অঞ্চলের প্রখ্যাত বাউল সাধক ছিলেন। মাতার নাম আয়রা চান। আজাদ মিয়া ৭-৮ বছর বয়স থেকে পিতার সান্নিধ্যে বাউল গান শিখেন। বর্তমান সময়ে তিনি একজন জনপ্রিয় বাউল শিল্পী।
তিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গান করে বেড়াতেন। মালজোড়া বাউল গানে তিনি পারদর্শী। প্রায় সময় বেতার-টিভিতেও গান করতেন। আগে একতারা ও স্বরাজ বাজিয়ে গান করতেন, পরবর্তীতে বেহালা বাজাতেন। ‘আমিতো ভালা না ভালা লইয়া থাইক্যো’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের স্রস্টা তিনি।
সাধক আজাদ মিয়ার তিনটি গানের ক্যাসেট বের হয়েছে। ক্যাসেটগুলো হলো- অপেক্ষায় নিশি, মাটির পিঞ্জর, ঢাকায় মানুষ ও নষ্টা নারী। আজাদ মিয়া সহস্রাধিক গান লিখেছেন।
‘বাউলা গীতি’ নামে তাঁর একটি গানের বই আছে। ১৫-২০ জন শিষ্য তাঁর কাছ থেকে বাউল গান শিখেছেন। তাঁর প্রথম স্ত্রী সনতারা বেগম নেত্রকোনার প্রথম নারী বাউল শিল্পী ছিলেন। আজাদ মিয়ার বড় ছেলে হাবিব বাউলা ও বড় মেয়ে বিলকিস আক্তার গানের চর্চায় জড়িত। অপর দুই ছেলে হাসানুর রহমান ফুলন এবং মিলন বাদ্যযন্ত্রী। মরহুমের ভাই আলম হোসেন সেকুল ভাল বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত ।