বার্সেলোনায় লিওনেল মেসির অভিষেক ১৭ বছর বয়সে। তারও আগে থেকে লিও’র আগমনী বার্তা শোনা যাচ্ছিল। ২০০৫ সালে ১৮ বছর বয়সে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ জেতেন তিনি। গোল্ডেন বুটের সঙ্গে গোল্ডেন বলও জিতে শক্তপোক্ত ভাবে জানিয়ে দেন- তিনি আসছেন। ২০০৭ সালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ফুটবলে মেসির সত্যিকারের আগমণ।
শনিবার (২৪ জুন) ওই মেসি তার জীবনের ৩৫ বসন্ত পেরিয়ে এসেছেন। পা রেখেছেন ৩৬ বছর বয়সে। তার এই ৩৬-এ পা দেওয়াও ঘটনাবহুল। বিশ্বকাপ জয়ের পর তার প্রথম জন্মদিন। এছাড়া ইউরোপের লড়াই ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের লিগে খেলতে যাচ্ছেন তিনি। ক্যারিয়ারের ২০তম বর্ষে পা দেওয়ার আগে ঘটনাবহুল লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে এসেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
মেসির ৩৬তম জন্মদিনে তার ক্যারিয়ারের নানান দিক তুলে ধরা হলো:
দেশের হয়ে শিরোপা: মেসি কাতার বিশ্বকাপে দেশকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন। এর আগে ২০১৪ আসরে ফাইনালে হেরেছিল তার দল। ২০২১ সালে প্রথম কোপা আমেরিকা জিতেছেন তিনি। তার আগে তিনবার কোপা আমেরিকার ফাইনালে হেরেছে তার আর্জেন্টিনা। ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে স্বর্ণ জিতেছিলেন মেসি। তার আগে ২০০৫ অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা। মেসি গোল্ডেন বুট ও বল জিতেছিলেন।
বার্সেলোনায় মেসির শিরোপা: বার্সার হয়ে মেসি ১৭ মৌসুম খেলেছেন। দশটি লা লিগা শিরোপা জিতেছেন, চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন, সাতটি কোপা দেল রে’, আটটি সুপারকোপা স্পানানা, তিনটি ক্লাব বিশ্বকাপ ও তিনটি ইউরোপিয়ান সুপার কাপ জিতেছেন।
মেসির গোল: লিওনেল মেসি বার্সার হয়ে ক্লাবটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৬৭২ গোল করেছেন। তিনি ২৬৯ গোলে সহায়তা দিয়েছেন। দুই মৌসুম পিএসজি খেলে ৩২ গোল করেছেন এই আর্জেন্টাইন। জাতীয় দলের হয়ে তিনি ১৭৫ ম্যাচ খেলে ১০৩ গোল করেছেন।
মেসির ব্যক্তিগত অর্জন: আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসি রেকর্ড সাতটি ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। কাতার বিশ্বকাপ জেতায় এবং পিএসজির হয়ে লিগ শিরোপা জেতায় আরও একটি ব্যালন ডি’অর তার হাতে উঠতে পারে। এছাড়া তিনি দু’বার ফিফা দ্য বেস্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন, ছয়টি ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জিতেছেন, দুটি বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল জিতেছেন। নয়বার লা লিগার সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন, দু’বার বর্ষসেরার পুরস্কার জিতেছেন তিনি।