রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। এই নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপি নিজেদের যাচাই করতে পারত। এ মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

তিনি বলেন, নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। সারাদিন এমন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে। বুধবার রাজশাহী স্যাটেলাইট টাউন হাইস্কুলে ভোট দেওয়ার পর এ কথা বলেন তিনি।এ সময় বিএনপির অংশ না নেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি ভোটে এলে তারা তাদেরকে যাচাই করতে পারত। ভোটাররা কতটা চায় তা যাচাই করতে পারত। যারা উন্নয়নের পক্ষে আছে এমন বিএনপি-জামায়াতের ভোটাররাও তাকে ভোটে দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সকাল ৯টা ১০ মিনিটে তিনি কেন্দ্রের ২ নম্বর বুথে ভোট দেন। ভোট দেওয়ার পর তিনি জানান, নির্বাচনে ৬০ শতাংশের মতো ভোট পড়বে বলে আশা করছি। এর আগে তিনি তার স্ত্রী শাহীন আকতার রেণী, দুই কন্যা আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা ও মাইশা জামান শ্রেয়াকে সঙ্গে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে আসেন।

বুধবার সকাল ৮টায় রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেওয়া হচ্ছে। সিসি ক্যামেরায় ঢাকায় বসে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন সিইসিসহ কমিশনের সদস্যরা।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে এবার মেয়র পদে প্রার্থী চারজন। তাঁরা হলেন- আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলম (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার (গোলাপ ফুল)। বরিশাল সিটি নির্বাচনের পর ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী নির্বাচন বয়কট করেছেন।

২৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১১১ জন। একটি ওয়ার্ডে একজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৪৬ জন প্রার্থী। একজন হিজড়া সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী। এখানে ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এ ছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছেন ছয়জন।

ভোটকেন্দ্রগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে ১ হাজার ৫৬০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। ভোট গ্রহণের দায়িত্বে আছেন ৩ হাজার ৬১৪ জন কর্মকর্তা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version