মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রোধ বা গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। দ্রুতই এই আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিন।
সোমবার জাতীয় সংসদে হাবিবুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, সাইবার অপরাধ দমনের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি করা হয়েছে। এ আইনের অপব্যবহার যাতে না হয় সেজন্য সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে একটি ‘টেকনিক্যাল নোট’ দিয়েছে। সেটিরও পর্যালোচনাও প্রায় শেষ। দ্রুতই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা: মামুনুর রশীদ কিরণের আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, নিরস্ত্র, নিরীহ মানুষকে হত্যাকারী জঙ্গিদের বিচারাধীন মামলা দ্রুত বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। ৩১ মে পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ছিল ৬৪৫টি।
সরকারি দফতরে ৩ লাখ ৫৬ হাজার পদ শূন্য: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, দেশের সব মন্ত্রণালয়/অধিদফতর ও মাঠ প্রশাসনে তিন লাখ ৫৫ হাজার ৮৫৪টি পদ শূন্য রয়েছে। প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জনপ্রশাসনে অনুমোদিত পদ ১৪ লাখ ৯ হাজার ৬০৬টি। এরমধ্যে কর্মরত আছেন ১০ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪০ জন।
সোমবার জাতীয় সংসদে কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
সরকারি দফতরে শূন্য পদ পূরণ চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ প্রক্রিয়া যথাযথভাবে চলমান রয়েছে। বর্তমানে শূন্য পদ পূরণের জন্য সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদফতরেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। কর্মচারীদের নিয়মিত অবসর ও নতুন পদ সৃষ্টির জন্য সাধারণত পদ শূন্য হয়ে থাকে। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে পূরণ করা সম্ভব হয় না।