দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

আরিফুর রহমান, ঝালকাঠি।।
পান-সুপারি এখনও এদেশের গ্রামীণ মানুষের সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। বিয়ে-সাদি এমনকি যে কোনো খানাপিনা ও মেহেমানদারিতেও পান-সুপারি পরিবেশন একান্ত অপরিহার্য একটি উপাদান। এ পান খেয়ে মুখ লাল করতে এবং পান সুপারির ঝাল দূর করে একে মুখরোচক করতে যে উপাদানটি কার্যকর ভূমিকা রাখে তা হচ্ছে ঝিনুকের চুন। এই চুন ছাড়া পান খাওয়ার কথা ভাবাই যায় না।

শামুক ও ঝিনুক থেকে খুব কসরত করে তৈরি করতে হয় চুন। এখন বিদ্যুৎচালিত যন্ত্রে সেই চুন উৎপাদনের ঝক্কি কমলেও সঙ্গে সঙ্গে লাভও কমেছে। ফলে লোকসানের মুখে চুন উৎপাদনে যুক্ত অনেকেই পেশা ছেড়েছেন। এই পেশা টিকিয়ে রাখতে হলে সংশ্লিষ্টদের সহজ শর্তে ঋণসহ সরকারি সহায়তার দাবি করেন তারা।

দক্ষিণের জেলা ঝালকাঠিতে চুন তৈরিতে যুক্ত অনেক পরিবার। পৌর এলাকার পালবাড়ি সড়কে বেশ কয়েকটি পরিবার শত বছর ধরে বংশ পরম্পরায় চুন তৈরি করে আসছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রাচীন পদ্ধতিতে শামুক ও ঝিনুক দিনরাত আগুনে পুড়িয়ে ঘানিতে গুঁড়া করে পানি মিশিয়ে তৈরি করা হয় চুন। কয়েক দফায় প্রক্রিয়াজাত শেষে এক তাফাল (কড়াই) খাওয়ার উপযোগী চুন তৈরিতে সময় লাগত ১০ দিন।

চুন তৈরির সনাতন এই পদ্ধতি বাদ দিয়েছে এই পরিবারগুলো। সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের বাউকাঠিতে এখন বিদ্যুৎচালিত যন্ত্র দিয়ে তৈরি করা হয় চুন। এক তাফাল চুন তৈরিতে এখন সময় লাগে দুই থেকে তিন দিন।

চুনের প্রস্তুত প্রণালি জানিয়ে চুন কারিগর তারক সূত্রধর বলেন, শামুক-ঝিনুকের খোলস রোদে শুকিয়ে মাটির তৈরি চুলায় আগুনে পোড়ানো হয়। সেই পোড়া শামুক ও ঝিনুক চূর্ণ করে চালনি দিয়ে ছেঁকে মাটির গর্তে রেখে পর্যাপ্ত পানি দিয়ে তিন ঘণ্টা বাঁশের হাতা দিয়ে নাড়লেই পাওয়া যায় ধবধবে সাদা প্রাকৃতিক চুন। সেগুলো নেটের কাপড় দিয়ে ছেঁকে বড় পাত্রে রাখা হয়।

চুন তৈরির খরচ কয়েক গুণ হয়েছে জানিয়ে কারিগররা জানান, বর্তমানে এক বস্তা শামুকের দাম ৩০০ টাকা, যা আগে ছিল মাত্র ৬০ টাকা। ফলে এক মণ চুন তৈরি করতে ৪০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়, যা বিক্রি হয় ৬০০ টাকায়। একজন চুন বিক্রেতা দৈনিক এক থেকে দেড় হাজার টাকার চুন বিক্রি করেন। উৎপাদন খরচ, কারিগরদের মজুরি বাদ দিলে লাভ থাকে খুব সামান্যই। তাই তারা সহজ শর্তে ঋণসহ সরকারি সহায়তা প্রত্যাশা করছেন।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক এইচ এম ফাইজুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, চুনশিল্প টিকিয়ে রাখতে বিসিকের তহবিল থেকে সহায়তা দেওয়া হবে।

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওাল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2024 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version