হোয়াইট হাউস ছেড়ে আসার পর রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হয়েছেন মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক কর্মসূচির গোপন নথি নিজের ব্যক্তিগত বাসভবনের বাথরুমে রেখেছিলেন তিনি।
এ অভিযোগে গত মঙ্গলবার মায়ামির ফেডারেল আদালতে শুনানি শুরু হয়। শুনানির আগে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ট্রাম্পকে গ্রেফতার দেখিয়ে কাঠগড়ায় তোলা হয়। যদিও ট্রাম্প অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিকে আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে এখন তার প্রচারণায় ব্যস্ত থাকার কথা। সেখানে ট্রাম্পকে বারবার আদালতে ছুটতে হচ্ছে। আইনি মারপ্যাঁচ সামাল দিতে হচ্ছে। কিন্তু এই লড়াইয়ে ট্রাম্পের পাশে নেই স্ত্রী মেলানিয়া। গুঞ্জন উঠেছে— ট্রাম্প ব্যস্ত থাকলে মেলানিয়া কোথায়?
এর আগে সম্পর্ক নিয়ে মুখ বন্ধ রাখার জন্য সাবেক এক পর্নোতারকাকে ঘুস দেওয়ার ঘটনায় আইনি ঝামেলায় জড়ান ট্রাম্প। আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। এ মামলাতেও বারবার আদালতে ছুটতে হয়েছে ট্রাম্পকে। ফ্লোরিডা থেকে নিউইয়র্কের আদালতে প্রতিবারই লটবহর, মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে হাজির হয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু মেলানিয়াকে স্বামীর পাশে একবারও দেখা যায়নি। এমনকি স্বামীর সমর্থনে কোনো বিবৃতিও দেননি তিনি।
যে কোনো স্ক্যান্ডাল বা সংকটের সময় রাজনীতিকদের স্ত্রীরা সব সময় স্বামীর পাশে থেকেছেন। আমেরিকানরা সাধারণত এমনটি দেখে অভ্যস্ত। তাই ট্রাম্পের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে মেলানিয়া ট্রাম্পের পাশে না দেখায় বিষয়টি নজরে এসেছে সবার ।
ওহাইও ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের অধ্যাপক ক্যাথেরিন জেলিসন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্টলেডিদের নিয়ে গবেষণামূলক কাজ করেন। ক্যাথেরিন বলেন, যে কোনো স্ক্যান্ডাল বা সংকটের সময় রাজনীতিকদের স্ত্রীরা সব সময় স্বামীর পাশে থেকেছেন। আমেরিকানরা সাধারণত এমনটি দেখে অভ্যস্ত। তাই ট্রাম্পের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে মেলানিয়ার শারীরিকভাবে পাশে না থাকাটা সবার চোখে পড়েছে।
ট্রাম্প ঝামেলার মধ্যে থাকার ফলে পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন। কিন্তু একবারও মেলানিয়ার নাম নেননি। এ ঘটনা ট্রাম্প-মেলানিয়ার ‘লেনদেনযুক্ত’ বিয়ের গুঞ্জন জোরালো করেছে।
আদালতে অভিযুক্ত হতে যাচ্ছেন, এমন খবর শোনার পর মার-এ-লাগো রিসোর্টে বক্তব্য দিয়েছেন ট্রাম্প। এতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। ওই বক্তব্যের সময়ও স্লোভানিয়ান বংশোদ্ভূত ৫৩ বছর বয়সী সাবেক মডেল মেলানিয়াকে ট্রাম্পের পাশে দেখা যায়নি। মেলানিয়ার বাবা ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন। যদিও মেলানিয়া তখন মার-এ-লাগোতেই ছিলেন।