তাসলিমুল হাসান সিয়াম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধায় জ্যৈষ্ঠের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ ছিল জনজীবন। সপ্তাহ জুড়ে তাপমাত্রা পরিমাপ স্কেলের পারদ ছিল ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াসের ঘরে । তাই বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় ছিলেন গাইবান্ধাবাসী । অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার (৯ জুন) সকাল আটটার পর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় গাইবান্ধায় ।
জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে তীব্র তাপদাহের পরে সকাল থেকেই গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছিল। আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। মানুষ অপেক্ষা করছিল কখন নামবে স্বস্তির বৃষ্টি। সব জল্পনা কল্পনা অবসান ঘটিয়ে সকাল ৯টার দিকে নেমে আসে দীর্ঘ প্রতীক্ষার বৃষ্টি। এতে খেটে খাওয়া মানুষদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। রোদের তাপে ঝলসে যাওয়া প্রকৃতি পেয়েছে নতুন প্রাণ।
বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে জেলার ৭ টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়ও। কাঙ্খিত বৃষ্টিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শিশু সহ সব বয়সের মানুষেরা। গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের আরিফখা গ্রামে দেখা যায় শিশু,সায়েম ,শোয়াইব ও মাহফুজার বৃষ্টির পানিতে ভিজে খেলা করছে। দীর্ঘ তাপপ্রবাহের পর শান্তির বৃষ্টি পেয়ে উচ্ছ্বসিত তারা । এসময় তারা বলেন গরমের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় গত কয়েকদিন যাবৎ বাইরে খেলা ধুলা করতে পারছে না তারা । তাই সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সমবয়সী বন্ধুরা মিলে বৃষ্টির পানিতে নেমে খেলা করছে তারা ।
সাদ্দাম হোসেন জানান, বেশ কিছুদিন ধরে অসহনীয় গরমে মনে হয়েছিল জীবন শেষ হয়ে যাবে । এরকম গরম আগে কখনও অনুভূত হয়নি। আজকের বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ খোরশেদ আলম বলেন ,গত কয়েকদিনের গরমে কৃষি ও কৃষকদের অবস্থা নাজেহাল হয়ে গিয়েছিল। সকাল থেকে যে বৃষ্টি হচ্ছে আশা করছি, কৃষি ও কৃষকের জন্য এটি স্বস্তি ও শান্তির বৃষ্টি হবে। এই বৃষ্টি ফসলের জন্য ভালো ভূমিকা রাখবে।