গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য নিজের প্রস্তুতকৃত ১৮ মণ ওজনের “লাল বাদশা” কে তোলা হবে কোরবানির হাটে। বিক্রির জন্য লাল বাদশার মূল্য রাখা হয়েছে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা। লাল বাদশার ন্যায্য মূল্য পাইলে বিক্রি করবেন খামারী।

ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর উড়িয়া (কটিয়ার ভিটা) গ্রামের কটিয়ার ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সুশীল মহুরির বাড়িতে নিশি চন্দ্র দাস (৩৫) এবার ঈদে বিক্রির জন্য ১৮ মণ ওজনের একটি গরু প্রস্তুত করেছেন। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে সকল ক্রেতার নজর কাড়বে গরুটি। খামারীর মালিক নিশি চন্দ্র দাস, তার স্ত্রী, ছেলে-মেয়েরা গরুটির নাম দিয়েছেন “লাল বাদশা”। লাল বাদশা নামের বিশাল আকৃতির গরুটি দেখতে খামারে প্রতিদিন উৎসুক জনতা ভিড় জমাচ্ছেন। ক্রেতা এলে গোয়ালঘর থেকে ষাঁড়টি বের করতে বেশ কষ্টই হয় তাঁর। সাধারন মানুষের আশা গরুটি এবার ঈদ বাজারে ন্যায্য মূল্যে পাবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, দৈহিক উচ্চতা ও গড়নে যেমন, তেমনি তার চলাফেরা। মেজাজ শান্ত স্বভাবের।প্রতিদিনই তাকে ২-৩ বার গোসল করাতে হয়। গরুটিকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছে। প্রায় ৯ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা ও ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার লাল রঙের লাল বাদশাকে নিয়ে ইতোমধ্যেই এলাকায় হইচই পড়ে গেছে।

নিশি চন্দ্র দাস এর স্ত্রী লিপি রানী (৩৪) বলেন, ১ বছর ২ মাস ধরে লাল বাদশাকে নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করেছি। মানুষ সন্তানকে যেমন আগলে রাখে, আমিও তেমনিভাবে রেখেছি। নিজের হাতে খাইয়েছি, গোসল করিয়েছি, যত্ন করেছি। এখন বিক্রি করে দিতে হবে ভেবে সন্তান হারানোর মতো কষ্ট পাচ্ছি।

গরুটির মালিক নিশি চন্দ্র দাস (৩৫) বলেন, লাল বাদশার খাদ্য তালিকায় রয়েছে দানাদার খাবারের পাশাপাশি সবুজ খাস, আপেল, কলা, কমলা সহ সকল দেশীয় খাদ্য। প্রতিদিন খাবারে জন্য লাল বাদশার পিছনে ব্যয় হয় ৭শ থেকে ৮শ টাকা। নিশি চন্দ্র দাস তাঁর প্রিয় লাল বাদশার দাম হাঁকছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা। তবে এখন পর্যন্ত খামারে আসা ক্রেতারা সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা দাম বলেছেন। ন্যায্য মূল্য পেলেই গরুটি বিক্রি করবেন বলে তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, ক্রেতারা সরাসরি এসে গরুটি যেন দেখে যান, আমার সেই আহ্বান থাকবে। কেউ চাইলে ইমু, ম্যাসেঞ্জার বা হোয়াটস অ্যাপেও যোগাযোগ করতে পারবেন এই ০১৭৫৩৬২২০৯৭/০১৭৩৭৫৬০৮৯৮ নম্বরে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version