তাসলিমুল হাসান সিয়াম গাইবান্ধা প্রতিনিধি: জৈষ্ঠ্যের আগুন ঝরাচ্ছে আকাশ। গরমের তাপে অতিষ্ঠ জনজীবন। প্রখর রোদে দুপুরের বাইরে তাকালেই ঝলসে যায় চোখ। তপ্ত দুপুরের গরমের তীব্রতায় নাগরিক জীবন এখন চরম বিপর্যস্ত। রোদের তেজের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরমের তীব্রতাও। বৃষ্টিহীন জৈষ্ঠ্য মাসে বিস্তীর্ণ জনপদে বাড়ছে রোদের প্রখরতা।
ঠিক এমন গরমের সময় শরবতের কথা শুনলেই ভিতর থেকে চলে আসে এক প্রশান্তির বার্তা। সারাদিনের ক্লান্তি আর অবসাদ ভাব কাটাতে শরবতের যেন কোন বিকল্পই নেই।
এমন পরিবেশে তেমনই এক প্রশান্তি এনে দিচ্ছে মাত্র ১০ টাকায় তৈরি হওয়া এক গ্লাস শরবত। বাইরের ভ্যাপসা গরম আর প্রখর রোদের তাপে ক্লান্ত ও তৃষ্ণার্ত মানুষের প্রাণ জুড়াচ্ছে এই শরবত ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলায় ভাসমান শরবতের দোকান রয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক । পৌর পার্ক,মার্কেট ,রেল স্টেশন,বাস স্টেশনসহ বিভিন্ন জনসমাগমস্থলে এসব দোকান বসেছে । সকাল এগারোটার পর থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত এসব দোকানে বিক্রি হচ্ছে সুস্বাদু শরবত।
গাইবান্ধা পৌর পার্কে শরবত বিক্রেতি জাভেদ হোসেন বলেন আমি ১২ বছর ধরে এই শরবত তৈরি করে বিক্রি করছি। চিনি, লেবু, তুতমা,, ইউসুফ গুলির ভুষি, শাহিদানা, অ্যালেভেরা ও উলটকমল দিয়ে এই শরবত তৈরি করি। এই শরবতের অনেক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে প্রখর রোদে বা তীব্র গরমে এই শরবতের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। দিনে অন্তত দুইশ গ্লাস শরবত বিক্রি করে ৬০০ টাকা আয় হয় বলে তিনি জানান।
১ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধা পৌর পার্কে গিয়ে দেখা যায় বেশ কয়েকজন স্কুল শিক্ষার্থী পরীক্ষা শেষে শরবত পান করছে । গাইবান্ধা সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী শাহরিয়ার ইসলাম জিম জানান ,গত কয়েকদিন ধরে ভ্যাপসা গরম আর ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ার জন্য মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে ক তাই কলেজ শেষে এখানে এসে একটু লেবুর শরবত খেয়ে পিপাসা মেটাচ্ছি ।
শরবত পানকারী সঞ্জয় কুমার, সবুজ সিকদার, শফিক তুহিন বলেন, আমরা প্রায়ই এখানে শরবত খেতে আসি। এই শরবত খেয়ে আমাদের এখন পর্যন্ত কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি। বরং যখন খায় তখন অনেক তৃপ্তিতেই খায়।
এদিকে গত এক সপ্তাহ হলো গাইবান্ধা জেলায় কোন বৃষ্টিপাত হয়নি । প্রতিদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে দিনের তাপমাত্রা । ১ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ডিগ্রী সেলসিয়াস ।