গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলোতে পা রাখে ভবিষ্যতের মেসি-ডি মারিয়ারা। তবে নকআউটে এসেই হোঁচট খেলেন আলবিসেলেস্তের যুবারা। ব্রাজিলের কাছে হেরে শেষ ১৬ নিশ্চিত করা আফ্রিকার সুপার ঈগল নাইজেরিয়ার কাছে হেরে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে এখন ঘরের মাঠে দর্শক হয়ে গেল স্বাগতিক আর্জেন্টিনা।
বুধবার রাতে আর্জেন্টিনার স্যান হুয়ান ডেল বিসেন্টেনারিও স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে স্বাগতিকদের ২-০ গোলে হারান নাইজেরিয়ার যুবারা। দলের হয়ে গোল দুটি করেন ইব্রাহিম বেজি মুহাম্মদ ও হালিরু সারকির।
ম্যাচ শুরুর আগে শক্তির বিচারে নাইজেরিয়ার থেকে অনেক এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। ম্যাচেও এর প্রতিফলন দেখা যায়। বল দখল থেকে শুরু করে আক্রমণ, পাস কিংবা টার্গেটে, শট সব কিছুতেই বেশ এগিয়ে আর্জেন্টাইন যুবারা। শুধু ফলটাই তাদের বিপরীতে।
পুরো ম্যাচে ৬৬ শতাংশ বল নিজেদের কাছে রেখে প্রতিপক্ষের গোল বরাবর ২৬টি শট নিয়েছিলেন আলবিসেলেস্তে যুবারা। পক্ষান্তরে নাইজেরিয়া মাত্র ৩৪ শতাংশ বল নিজেদের কাছে রেখে ১০টি শট প্রতিপক্ষের গোল বরাবর নিয়েছিল। যেখানে থেকে দুটিতে গোল আদায় করে নিতে সক্ষম হয়।
ম্যাচের শুরুতে খেলা কিছুটা স্লো গতির হলেও আস্তে আস্তে ঘরের মাঠে আর্জেন্টিনা আক্রমণের ধার বাড়ায়। তবে কোনো দলই কাঙ্ক্ষিত গোল আদায় করতে সক্ষম হয়নি। তাই প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবেই।
বিরতি থেকে ফিরে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে নিজেদের রক্ষণের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন আর্জেন্টাইন যুবারা। যার সুযোগ নিয়ে নেয় নাইজেরিয়া। ম্যাচের ৫৮তম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত আফ্রিকান দলটি। কিন্তু আদেনিরান লাওয়ালের শট পোস্টে লেগে ফেরত এলে ফিরতি শটে সুযোগ পেলেও জালে বল জড়াতে পারেননি নাইজেরিয়ানরা।
তবে এর জন্য তাদের অপেক্ষাটা বেশি বড় হয়নি। তিন মিনিট পর ম্যাচের ৬১তম মিনিটে আদেনিরানের অ্যাসিস্ট থেকেই বল জালে জড়িয়ে নাইজেরিয়ানদের উল্লাসে ভাসান ইবরাহিম বেজি মুহাম্মদ।
গোল খেয়ে তা শোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন আলবিসেলেস্তে যুবারা। ৬৪তম মিনিটে গোল পেয়েই যাচ্ছিল তারা। কিন্তু কার্বোনির দুর্দান্ত শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন নাইজেরিয়ান গোলরক্ষক। ম্যাচের ৮৩তম মিনিটে ভাগ্যের জোরে বেঁচে যায় নাইজেরিয়া। লুকা রোমেরোর নেওয়া শট গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এতে ম্যাচে ফিরে আসার সুযোগ হারায় তারা।
উল্টো অতিরিক্ত সময়ে আর্জেন্টিনার কফিনে দ্বিতীয় পেরেক ঠুকেন রিলওয়ানু হালিরু সারকি। ভিক্টর এহুয়া ইলেতুর অ্যাসিস্ট থেকে গোলটি করেন সারকি।