তুরস্কে দ্বিতীয় দফার (রান-অফ) ভোটে বিজয়ী হয়ে তৃতীয়বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
১৪ মে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফা ভোটের আগে ধারণা করা হয়েছিল, এবারই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছেন এরদোয়ান। ওই ভোটে বিজয়ী না হলেও ৬৯ বছর বয়সী এরদোয়ানই সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিলেন—৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারওলু পেয়েছিলেন ৪৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট। কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় গড়ায় এই নির্বাচন। রোববার এই দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে ৯৭ শতাংশ ভোট গণনা শেষে এরদোয়ান পেয়েছেন ৫২ দশমিক ১ শতাংশ ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারওলু পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট। এরদোয়ানকে নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
এরদোগান তার টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, আমরা জনগণের ইচ্ছাকে সর্বোচ্চ সম্মান করি। তাদের ইচ্ছাকে সুরক্ষা করার সময় এসেছে এখন। বিজয়ের আনন্দে এরদোগানের সমর্থকরা তার ইস্তাম্বুলের বাসভবনে জড়ো হয়ে ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দিচ্ছেন।
সুপ্রিম ইলেকশন বোর্ডের (ওয়াইএসকে) চেয়ারম্যান আহমেত ইয়েনার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ভোটে কোনোরকম অনিয়ম কিংবা জালিয়াতি হয়নি। যার কারণে নির্বাচন প্রক্রিয়া কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে বিকাল ৫টায় শেষ হয়েছে। গত ১৪ মে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট এরদোগান শতকরা ৪৯.৫২ ভাগ ভোট পেয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল ক্লিচদারওগ্লু পেয়েছেন ৪৪.৮৮ শতাংশ ভোট। নির্বাচনের তৃতীয় অবস্থানে থাকা সিনান ওগান রান অফ নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে সমর্থন দিয়েছেন। প্রথম দফার নির্বাচনে ওগান ৫.২ ভাগ ভোট পেয়েছিলেন।