মশিউর রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে রাসায়নিক সারের ডিলার হয়েও প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছেন রাসায়নিক সার বিহীন বিভিন্ন ফসল।
উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের বয়ড়া এলাকার মোঃ আব্দুল মজিদ এক জন বিসিআইসি তালিকা ভুক্ত রাসায়নিক সার ডিলার।
তিনি সার ডিলার হওয়া সত্বেও কোন রকম সার ছাড়াই শুধু মাত্র নিজের তৈরী কেঁচু সার ব্যাবহার করে দীর্ঘদিন ধরে চাষ করছেন ভুট্রা, আলু, লাল শাকসহ বিভিন্ন শাকসবজি ও দানাদার ফসল। এবার তিনি চাষ করছেন বস্তায় আঁদা। এতে করে খুব সহজে অল্প খরচে যেকোন সময়ে দ্রুত প্রটেকশন সহজ লভ্য বিষ মুক্ত ফসল পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান। বাড়ীর আঙ্গিনা পতিত জমি ও রাস্তার পাশে সারি সারি করে সাজিয়ে রেখেছেন এসব বস্তা। প্রতিটি বস্তায় তিনি ব্যাবহার করেছেন নদীর পলি মাটি এর সাথে মিশ্রন করেছেন, অটোরাইস মিলের ছাঁই এক কেজি, গোবর এক কেজি, কেঁচু সার হাফ কেজি। এর পর তিনি প্রতিটি বস্তায় রোপন করছেন আঁদার চারা। এ বিষয়ে মোঃ আব্দুল মজিদ জানান, আঁদা নিস্বন্ধেহে মসলা জাতীয় অর্থকারী ফসল। এটা আমাদের দেশের আমদানী নির্ভর।
মোবাইলে ইউটোব দেখে আমাদের দেশের ও বিদেশের উদ্যোগতাদের দেখে উৎসাহিত হয়ে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে উপজেলা কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় এবার ১৪ হাজার বস্তাতে আঁদা চাষ করেছি। বস্তায় চাষের সুবিধা হলো চারায় যদি কোন রোগবালাই আক্রমন করে তাহলে সেই চারাটাকে শুধু টিটমেন্ট করা যাবে প্রয়োজনে বস্তাটাকে অন্যত্র সরিয়ে রাখা যাবে ফলে অন্যকোন চারা আক্রান্ত হবে না। এসব বস্তা প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোন স্থানে স্থানে স্থানান্তর করা যাবে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অনুপ সিংহ জানান, বৃহত্তম ময়মনসিংহ অঞ্চলে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি করন প্রকল্পের আওতায় মসলা জাতীয় ফসলের প্রযুক্তি বিস্তার প্রদর্শনী হিসাবে বস্তায় আঁদা চাঁষ করা হয়েছে। এছাড়াও কৃষক নিজেই নিজস্ব ভাবে সব মিলিয়ে ১৪ হাজার বস্তায় আঁদা চাঁষ করেছে। আমরা কৃষি বিভাগ প্রতিনিয়তই কৃষকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে আসছি।