প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতলে তুর্কি ইতিহাসে টানা তিন দশক ধরে দেশ পরিচালনার নতুন ইনিংস শুরু হবে এরদোগানের। শনিবার নির্বাচনি প্রচারণার শেষ ঘণ্টাগুলো উত্তাল ছিল দেশটির ভোটের মাঠ। একদিকে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের প্রচার শিবির।
অন্যদিকে বিরোধী জোটের নেতা কামাল কিলিচদারোগ্লু। মসনদ জয়ে মরিয়া দুই প্রার্থীই। ১৪ মে নির্বাচনের প্রথম দফায় এরদোগান পেয়েছিলেন ৪৯% ভোট। কিলিচদারোগ্লু পেয়েছিলেন ৪৪.৮৯ %। দুজনের কেউই ৫০% ভোট না পাওয়ায় সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন গড়ায় দ্বিতীয় দফায় (২৮ মে)। খবর বিবিসির।
শেষ দিনের প্রচারেও জাতীয়তাবাদীদের ভোট টানতে তুরস্কে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ সিরিয়ার শরণার্থীকে ফেরত পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কামাল কিলিচদারোগ্লু। তার এই বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান।
বলেন, ‘নির্বাচনে কিলিচদারোগ্লুর জয় হবে সন্ত্রাসীদের বিজয়। ‘বিরোধী প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী প্রথম রাউন্ডে এরদোগান থেকে ২৫ লাখ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন।
তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট এগিয়ে থাকলেও তাদের মধ্যে ব্যবধান এখনো পূরণ করা সম্ভব হতে পারে। এর জন্য বিরোধী নেতার প্রথম দফায় তৃতীয় স্থানে থাকা অতি-জাতীয়তাবাদী প্রার্থীর সিনান ওগানের সমর্থন লাগবে।
অন্যথায় প্রথম দফায় অংশ না নেওয়া প্রায় ৮০ লাখ ভোটারের সমর্থন পেতে হবে। এখানেও এগিয়ে আছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ‘কিংমেকার’ সিনান ওগানের সমর্থন শেষ পর্যন্ত তার ঝুলিতেই পড়েছে। প্রথম দফার দৌড়ে সিনানের ভাগ্যে জুটেছে ৫.১৭% ভোট।