দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

শেখ শাহরিয়ার হোসেন, জবি প্রতিনিধি: উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও ডিনের সই জাল করে বিভাগ পরিবর্তনের আবেদনের পর ধরা পড়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. সজীব আহমেদ। তিনি ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক রইছ উদ্দিন আবেদনে জাল সই পেয়ে প্রক্টর অফিসে পাঠান। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আবেদন যাচাই করে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও ডিনের জাল সই শনাক্ত করেন।

সজীব আহমেদ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হন। পরবর্তীতে হিন্দু পরিচয় দিয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে দর্শন বিভাগে মাইগ্রেশনের জন্য আবেদন করেন। আবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, কলা অনুষদের ডিন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যানের জাল স্বাক্ষর বসানো হয়। এমনকি জাল স্বারক নম্বরও ব্যবহার করেন তিনি। ওই শিক্ষার্থী নিজেকে বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা বলে দাবি করে পরিচয়পত্র প্রদর্শন করেন। এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জাল অ্যাডমিট কার্ডও জমা দেন। এসব কাগজপত্র তিনি ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেন।

সজীব আহমেদ জানান, তার রোল বি২০০১০৫০২৭। বাবার নাম মো. আবুল কালাম ও মাতা শিল্পী বেগম। তার বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলায়। তিনি বিমান বাহিনীর ওয়াচম্যান। চট্টগ্রামে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তিনি কর্মরত আছেন বলে জানান। ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে আরবি পড়তে হয় বলে তিনি এ অপকর্মে জড়িয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। পরীক্ষা দিয়েও শূন্য পেয়েছেন বলে জানান তিনি। জাল সিলগুলো তিনি সাভার বাজার থেকে তৈরি করেছেন বলে জানান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সজীব আহমেদ প্রথম বর্ষে কোনো পরীক্ষাতেই অংশ নেননি। তার বিভাগের সহপাঠীরা তাকে শনাক্তও করেছেন। কাগজপত্রের কথা বলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা হয়। পরবর্তীতে তাকে ডিন ও প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার এ কাজের পেছনে একটি চক্র কাজ করছে বলে ধারণা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ ব্যাপারে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক রইছ উদ্দিন বলেন, ফাইনাল মাইগ্রেশনের কাগজপত্র ক্রস চেক করে আমি এমন কোনো শিক্ষার্থীর তথ্য পাইনি। পরবর্তীতে তাকে কায়দা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে বলা হয়। আসার পর তাকে আমার দপ্তর থেকে প্রক্টর অফিসে পাঠানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, অভিযুক্তকে ডিন অফিস থেকে প্রক্টর অফিসে আনা হয়। তাকে কোতোয়ালি থানায় সোপার্দ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা রনি বাদি হয়ে মামলা করবেন। এরই মধ্যে মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওয়াল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2025 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version