শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে আমিষ স্নেহজাতীয় খাবারের পাশাপাশি প্রচুর শাকসবজি খাই আমরা। ডাক্তারও প্রতিটি রোগীকে শাকসবজির প্রতি জোর দিতে বলেন। তবে সবজির তালিকাতে প্রায় আমরা ঝিঙার নাম রাখি না। অথচ ঝিঙার প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি আছে।
ঝিঙা অনেকেই পছন্দ করেন না। তবে স্বাদে খুব একটা আকর্ষণীয় না হলেও, ঝিঙা পুষ্টিগুণ ভরপুর। ওজন কমাতে, চোখ ভালো রাখতে এবং ইমিউনিটি বাড়াতে বেশ কার্যকরী এই সবজি। ঝিঙা খেলে স্বাস্থ্যের কী কী উপকার হয়, তা সবার জেনে রাখা উচিত।
ঝিঙা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং এতে ক্যালোরি খুব কম। যে কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী সবজি এটি। পাশাপাশি ঝিঙা হাইপোগ্লাইসেমিক। যে কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
ঝিঙাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ থাকে, যা চোখ ভালো রাখতে সহায়তা করে। বিশেষ করে বেশি বয়সি মানুষের ক্ষেত্রে ঝিঙা অত্যন্ত উপযোগী। ম্যাকুলার ডিজেনারেশন, আংশিক অন্ধত্ব এবং চোখের অন্যান্য অসুস্থতা প্রতিরোধে সহায়তা করে ঝিঙা। এ ছাড়া অপটিক স্নায়ু ভালো রাখে এই সবজি। বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ থেকে চোখের রক্তনালিকেও রক্ষা করে।
ঝিঙাতে প্রচুর পরিমাণে জলীয় উপাদান আর সেলুলোজ থাকে। সেলুলোজ এক ধরনের প্রাকৃতিক ফাইবার। ফলে ঝিঙা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয় এবং পেট ভালো রাখে। পাশাপাশি স্বাভাবিক মলত্যাগ এবং হজমে সহায়তা করে।
ঝিঙা ফাইবার সমৃদ্ধ, যা হজম হতে সময় নেয়। ফলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে। আর এতে ক্যালোরিও কম এবং জলের পরিমাণ বেশি, যা ওজন কমাতে অবদান রাখে।
ঝিঙা আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ, অ্যালকোহল ও অপাচ্য খাদ্যকণা দূর করে। ফলে ভালো থাকে লিভার। পিত্তরসের ক্ষরণ ভারো রাখতেও ঝিঙার অবদান অনেক। ফলে জন্ডিস থেকে সেরে ওঠার সময় ঝিঙা খেতে বলা হয়।
চোখ, লিভার, পাকস্থলী ও কিডনি সংক্রমণের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো শরীরের কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ঝিঙাতে রয়েছে ভিটামিন ‘সি’, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, রাইবোফ্ল্যাভিন, থায়ামিন এবং জিঙ্ক। যে কারণে ইমিউনিটি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ঝিঙা।