গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় বাধা, হামলা-মামলা, ভাঙচুর ও কর্মীদের ভয়ভীতি ও হুমকির প্রতিবাদে স্বতন্ত্র মেয়ের পার্থী জায়েদা খাতুনের ছয়দানার বাসায় ১৯ মে (শুক্রবার) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন অভিযোগ করেন, তার প্রতিপক্ষ মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান তার নির্বাচনি গণসংযোগে পথে পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছেন, গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যদের বাড়ি গিয়ে পুলিশি তল্লাশির নামে হয়রানি করছে। তিনি দ্রুত এসব বন্ধ করে কমিশনকে নির্বাচনি পরিবেশ ফিরিয়ে এনে সব প্রার্থীর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির আহবান জানান।
সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন-আমি ও আমার মা জায়েদা খাতুন যখন কোনো প্রচারণায় যাই, প্রত্যেকটি থানা, ওয়ার্ড ও এলাকায় আমাদের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা যখন প্রচারণা করেন, তখন আজমত উল্লা খান তার লোক এবং সন্ত্রাসীদের দিয়ে তাদের বাধা দিচ্ছেন ও প্রশাসনের কিছু লোক আছে,তারা এলাকাভিত্তিক যারা আমাদের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন তাদের মোবাইলে এবং যে কোনোভাবে উঠিয়ে নিয়ে থ্রেট করছেন ভয় দেখানো হচ্ছে। আবার অনেকের কাছ থেকে টাকা-পয়সাও হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং বলছে- তারা যাতে কোনোভাবেই জায়েদা খাতুনের টেবিল ঘড়ির নির্বাচন না করে। আজমত উল্লা পক্ষে নির্বাচন করার জন্য নির্দেশ দিচ্ছে।এটা কি নির্বাচনের পরিবেশ, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া না অন্য কিছু? তারা আজমত উল্লাকে ভোট দেওয়ার জন্য বলপ্রয়োগ করছে। আমরা যেখানে পোস্টার লাগাই সেখানে গিয়ে তারা ছিঁড়ে ফেলে। এছাড়া গত কয়েক দিন ধরেই তারা আমার মা ও আমাকে হত্যার জন্য চেষ্টা করছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে। মহান আল্লাহ এবং এলাকার জনগণ আমাদের রক্ষা করেছেন।
জাহাঙ্গীর আলম আর ও বলেন, দুদক হচ্ছে একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। গত ১৫,১৬ তারিখে দুদক থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে আমি যেন ২১ ও ২২ তারিখে গাজীপুর থেকে ঢাকায় গিয়ে দুদক কার্যালয়ে বসে থাকি। তিনি প্রশ্ন করেন-২৩ তারিখে প্রচার-প্রচারণা বন্ধের আগের দুদিন আমাকে ডেকেছেন।এটা কী জন্য করেছেন? নাকি আমার মায়ের নির্বাচনে ক্ষতি করার জন্য ডেকেছেন? তিনি এসব প্রহসন বন্ধ করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আহবান জানান।