যশোরে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজি কোর্স সমতাকরণ না মানার দাবিতে স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়ন যশোর এর উদ্যোগে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
আজ সোমবার (১৫ মে) সকালে যশোর জেলা প্রেসক্লাবের সামনে স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়ন যশোর এর উদ্যোগে এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়ন যশোর শাখার সভাপতি মোঃ আবিদূর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে সাধারণ সম্পাদক দীপ্রজিত দেসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
এসময় বাংলাদেশ ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়নের শিক্ষার্থীরা -বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায়, দালালচক্রের ঠাঁই হবে না,নার্স কেন রাস্তায়, জবাব চাই, জবাই চাইসহ নানা স্লোগানে প্রেসক্লাবের সামনের মুজিব সড়ক প্রকম্পিত করে তোলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজি কোর্স সমতাকরণ না মানার দাবিতে
কারিগরি মুক্ত নার্সিং, ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি কোর্সকে ডিগ্রি সমমান, প্রফেশনাল বিসিএস, শিক্ষা উপবৃত্তি বৃদ্ধি করণ ও ইন্টার্ন ভাতা নিশ্চিত করণ, সরকারি নার্সিং এ ছেলে কোটা ১০% থেকে ২০% এ এবং বেসরকারি নার্সিং এ ২০% থেকে ৩০% এ উন্নতিকরণ ও ছেলেদের আবাসিক হলের ব্যবস্থা করণের ৬ (ছয়) দফা দাবি জানান।
উল্লেখ্য কারিগরীতে যারা নার্সিং পড়ছে তারা এসএসসি বা সমমান পাশ করে ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া ও কোনো রকম বয়সের বিভাজন ছাড়া সম্পূর্ণ বাংলা মিডিয়ামে মাসে কয়েকটি ক্লাস করেন। তারা ৩/৪ বছরের কোর্স করে এবং শুধুমাত্র ৬ মাস ক্লিনিক্যাল প্যাকটিস করছে।
অন্যদিকে যারা ডিপ্লোমা নার্সিং পড়তেছে তারা এইচএসসি পাশ করার পর তুমুল ভর্তি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে তবেই সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানে নার্সিং পড়ার জন্য সুযোগ পাচ্ছেন এবং বেসরকারিভাবে পড়তে হলেও ভর্তি পরীক্ষায় নূন্যতম ৪০ মার্ক রাখতে হচ্ছে এবং কঠোর পরিশ্রম করে ৩ বছর ইয়ার ভিত্তিক সম্পূর্ণ ইংলিশ মিডিয়ামে প্রতিটা সাবজেক্টে ৬০% মার্ক পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হয়।আর এই ৩ বছরে ক্লিনিক্যাল প্যাকটিসের সাথে বোর্ড পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে আবার ৬ মাসের ইন্টার্নি করে একজন যোগ্যতা সম্পন্ন নার্স হিসেবে বের হচ্ছে।
আর এজন্য কারিগরি নার্সদেরকে রেজিস্ট্রার নার্সের সমমান দেওয়ায় রেজিস্টার নার্সদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করা হয়েছে এবং একটি সংমিশ্রণ ও ভেজাল পেশায় পরিনত হয়েছে বলে আন্দোলনকারীরা মনে করছেন।আর তাই যতক্ষণ না এই নোটিশ তুলে নেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা আন্দোলন চলিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।