যশোরে হুশতলায় পরকীয়ার কারনে স্বামী ঔষধ ব্যবসায়ী জহির হাসানকে স্ত্রী শেফালী বেগম (৩৩) কে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
নিহত জহির হোসেন গাজী যশোর বকচর হুশতলা সাকিনে শান্তা কিন্ডার গার্টেন নামক জনৈক শান্তা রানী কুন্ডু এর ২ তলা বাসার নীচ তলার ভাড়াটিয়া ও মৃত হোসেন আলী গাজীর ছেলে।
গতকাল মঙ্গলবার (৯ মে) রাতে জহিরের মৃত্য অস্বাভাবিক হওয়ায় ও নিহতের আত্মীয়স্বজনের অভিযোগের ভিত্তিতে স্ত্রী শেফালী বেগমকে পুলিশ
গ্রেফতার করে।
ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, গতকাল রাত পোনে আটটায়
যশোর বকচর হুশতলা সাকিনে শান্তা কিন্ডার গার্টেন নামক জনৈক শান্তা রানী কুন্ডু এর ২ তলা বাসার নীচ তলার ভাড়াটিয়া জহির হাসান গাজীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে কোতয়ালী থানা পুলিশ, ডিবি ও র্যাব ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। মৃত জহিরের বাম হাতের প্রতিটি শিরায় কালো দাগ পরিলক্ষিত হওয়ায় মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে থানা ও ডিবি পুলিশ যৌথভাবে নিবিড়ভাবে তদন্ত শুরু করে।
একপর্যায়ে স্ত্রী শেফালী বেগম তার স্বামী জহির হাসানকে হত্যার দায় স্বীকার করে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করে জানায় যে, শংকরপুরের রবিউলের সাথে পরকীয়া সম্পর্কের কারনে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী জহির হাসানকে হত্যার পরিকল্পনা করে অভিনব পদ্ধতিতে প্রথমে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অচেতন করে পূর্ব থেকে সংগৃহিত মোবাইলের ব্যাটারী থেকে এসিড ইনজেকশন সিরিঞ্জ এ ভরে ঘুমন্ত জহির হাসানের বাম হাতের শিরায় পুশ করে। এসিড প্রয়োগে অল্প সময়েই জহির মৃত্যুবরণ করে মর্মে আসামী স্বীকার করে। পরে আসামী শেফালীকে গ্রেফতার করে তার স্বীকার মতে হত্যার রহস্য গোপন করার নিমিত্তে গোপন করা আলামত ভাঙ্গা মোবাইল, ব্যাটারীর অংশ বিশেষ, নিহতের ঘর থেকে এবং মনিহার ফলপট্টি রোড থেকে হত্যাকাজে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, ঘুমের ঔষের খালিপাতা এবং আসামীর কর্মস্থল মাতৃসেবা ক্লিনিক থেকে নমুনা সিরিঞ্জ ও ঘুমের ঔষধ জি-ডায়াজিপাম ৫ মিলিগ্রাম জব্দ করা হয়।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে মৃতের ভাই শাহনেওয়াজ বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় এজাহার দায়ের করলে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ আজ (১০ মে) মামলা দায়ের করে যার নম্বর ৩৬।