দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

রাত পোহালেই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। সারা দেশের পরীক্ষার্থীরা যখন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত, তখন প্রবেশপত্র না পেয়ে স্কুলের সামনে অবস্থান করছে নীলফামারী সদর উপজেলার টুপামারী দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬ পরীক্ষার্থী। তাদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকদের গাফিলতির কারণে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
শনিবার(২৯এপ্রিল) সকাল ১০ টা থেকে এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে ৯টা) বিদ্যালয়ের বারান্দায় অবস্থান করছে পরীক্ষার্থীরা।
পরীক্ষার্থী শাহজাহান ইসলাম  বলে, আমরা প্রবেশ পত্র না নিয়ে বাড়ি যাব না। কালকে আমাদের পরীক্ষা যেখানে আমাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার কথা সেখানে আমারা স্কুলের বারান্দা বসে আছি। স্যারের অবহেলায় আমাদের এই অবস্থা।
পরীক্ষার্থী স্বর্ণা আক্তার  বলে, রাত পোহালেই পরীক্ষা কিন্তু এখনো আমি এডমিট পাইনি। স্যারের একজনের রেজিস্ট্রেশন করার পর তিনবার চেক করা উচিৎ কিন্তু উনি একবারেও চেক করেনি। কালকে পরীক্ষা এখন বলতেছে রেজিস্ট্রেশন হয়নাই। আমি সাইন্স নিয়ে পড়ছি এখন নাকি আমার প্রবেশ পত্রে আর্টস এসেছে। আমি সেই এডমিটও হাতে পাইনি শুধু শুনেছি। এই মুর্হুতে কি ঠিক করা সম্ভব। তবুও তিনি আশ্বাস তো দিবেন আমি ঠিক করি দিব। কিন্তু উনি এই মুর্হুতে ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। আমি সকাল ৯ টার সময় স্কুলে এসেছি কোনো পড়াশোনা করিনি। আমি চাই যে আমি একাই পরীক্ষা দিতে পারবো না কেউ পরীক্ষা দিবে না। সকল পরীক্ষা বন্ধ চাই।
নাসিমা আক্তার নামে আরেক পরীক্ষার্থী বলেন, যখন আমাদের ক্লাস নাইনের রেজিস্ট্রেশন হয় সেই সময় ৫০০ টাকা দিছি। তখন কিন্তু বলে নাই আমার নাইনের রেজিস্ট্রেশন হইছে কিনা। এসএসসির ফরম পূরণের সময় দিলাম ২২০০ টাকা। পরে আবার বললো তোমাদের ফরম পূরণের সমস্যা হইছে এক হাজার টাকা দেও। আমি আরো এক হাজার টাকা দিলাম। এখন বলতেছে আরো ১৯০০ টাকা লাগবে। এতো টাকা দেওয়া কি সম্ভব। এখনো আমি এডমিট হাতে পাইনি। একজন যদি আমরা এডমিট না পাই আমরা কেউ পরীক্ষা দিব না।
আমেনা খাতুন নামে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন,  সকাল থেকে বাচ্চারা এডমিটের জন্য স্কুলে পড়ে আছে। রাত হওয়ার পর বাড়ি যায় নাই দেখি নিজেই আসলাম স্কুলে। সারাদিন বাচ্চাগুলা স্কুলের বারান্দায় বসেছিল মুড়ি আর চানাচুর খেয়ে।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোর্সেদা বেগম(পারভিন)  বলেন, আমাদের স্কুলের ১৬ জনের সমস্যা ছিল। এর মধ্যে ১১জনের কাগজ পাওয়া গেছে এখন পর্যন্ত ৪টা বাচ্চার সমস্যা আছে। কালকে যেহেতু পরীক্ষা বাকি বাচ্চাদের প্রিপারেশনের দরকার আছে।
তিনি বলেন, আমি হেড স্যারের সাথে কথা বললাম এছাড়া কালকে থেকে হেড স্যারকে কাগিদ দিচ্ছি যে, যেকোন কিছুর বিনিময়ে বাচ্চারা যাতে পরীক্ষা দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে। উনার সাথে এখানে আসার আগেও ফোনে কথা বলছি। স্যার বলতেছে আমি এখানে বসে আছি আমি কাজ করে আসছি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ রহমানের ফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওাল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2024 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version