অনলাইন ডেস্ক: দেশে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে বজ্রসহ বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। রোববার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা নিয়ে বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষের দিকে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

২৪ ঘণ্টার সিনপটিকে জানানো হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থন করছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

এছাড়া খুলনা বিভাগসহ ঢাকা, ফরিদুপর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী ও পাবনা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে; যা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

রোববার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো যশোর ও চুয়াডাঙায় ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ঢাকা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী ঈশ্বরদী, খুলনা, মংলা, সাতক্ষীরা, কুমারখালীতে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা ছিলো। সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো সৈয়দপুরে ১৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, বর্তমানে বয়ে যাওয়া তাপমাত্রা আগামী কয়েকদিন কিছুটা বাড়তে পারে। আগামী বুধবার (১৯ এপ্রিল) থেকে তাপমাত্রা কমা শুরু হতে পারে।

আবহাওয়াবিষয়ক বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিমের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিন ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকার তাপমাত্রা আরো কিছুটা বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতা বাড়বে। ফলে গরমের কষ্ট বাড়তে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে তারা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার এবং পর্যাপ্ত পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন।

এদিকে গত ৫৮ বছরের মধ্যে শনিবার (১৫ এপ্রিল) সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন কাটিয়েছে রাজধানীবাসী। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, শনিবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকায় গরমের আঁচ আরো বেশি অনুভূত হয়। ১৯৬৫ সালে ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো চুয়াডাঙ্গায়, ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

টিএমবি/এইচএস

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version