দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

শরিয়তে এমন কিছু কাজ রয়েছে, যা রোজার দিন ছাড়া বৈধ, কিন্তু রোজা পালনরত অবস্থায় সেগুলো করা যায় না।

যেমন- ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার ও স্ত্রী সম্ভোগ। এর দ্বারা রোজা ভেঙে যায়। সুরা বাকারার ১৮৭ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তোমরা সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত পানাহার করো, অতঃপর রাত আসার আগ পর্যন্ত রোজা পালন করো। মসজিদে যখন তোমরা এতেকাফ অবস্থায় থাকবে, তখন নারী সম্ভোগ থেকে বিরত থাকবে।’

সাধারণ অবস্থায় পানাহার ও স্ত্রী সম্ভোগ হালাল হওয়া সত্ত্বেও রমজানে দিনের বেলা এগুলো থেকে বিরত থেকে তাকওয়ার অনুশীলন করা হয়। তা এভাবে যে, আল্লাহর নির্দেশের কারণে পুরো বছর যা হালাল ছিল, তাই হারাম হয়ে গেছে। তাহলে যা আগে থেকেই ১২ মাস হারাম-অশ্লীল ও গোনাহ, তা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। আর রমজানে তা থেকে বিরত থাকা তো আরও বেশি।

যে বিষয়গুলো সাধারণতভাবেই মেনে চলা যায় কিন্তু অনেকে না জেনেও করে ফেলছেন। ঠিক সে রকম কয়েকটি বিষয় হলো-

১. দৃষ্টিকে গুনাহ থেকে বিরত রাখা-
যেমন—যে কোনো নারী বা মেয়েদের খারাপ দৃষ্টিতে দেখা, সেটা থেকে নিজেকে হেফাজত করা। তা সরাসরি দেখা হোক বা টিভি-সিনেমায় দেখা হোক বা ম্যাগাজিন ও পত্রিকার ছবিতে হোক। অনেকে রোজা রেখে অবসর সময় নাটক-সিনেমা দেখে কাটান। এতে তাদের রোজার সওয়াব কমে যায়।

২. মুখের হেফাজত করা-
মিথ্যা, গিবত, পরনিন্দা, অশ্লীল কথাবার্তা ও ঝগড়া থেকে বিরত থাকা। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি রোজা অবস্থায় মিথ্যাচার ও মন্দ কাজ ত্যাগ করেনি, তার পানাহার ত্যাগে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।’ (বুখারি ১৯০৩)। অন্য এক হাদিসে এসেছে, ‘রোজা অবস্থায় তোমাদের কেউ যেন অশ্লীল কথা না বলে এবং শোরগোল, হট্টগোলে লিপ্ত না হয়। যদি কেউ তার সঙ্গে গালিগালাজ বা মারামারি-কাটাকাটিতে লিপ্ত হতে চায়, তবে সে (অনুরূপ আচরণ না করে) বলবে, আমি রোজাদার।’ (সহিহ বোখারি : ১৯০৪)।

এতে থেকে বোঝা যায়, রোজা অবস্থায় মারামারি ও ঝগড়া তো দূরের কথা, শোরগোল করাও রোজার আদব পরিপন্থী। তাই জবানকে এসব থেকে বিরত রেখে সর্বদা জিকির-আসকার ও কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে তরতাজা রাখতে হবে।

৩. কানের হেফাজত করা-
রোজা রেখে গান-বাজনা, গিবত, পরনিন্দা ও অশ্লীল কথাবার্তা শোনা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৪. খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখা-
অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখা। যেমন—হাত-পা ইত্যাদিকেও গুনাহ ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখা।

৫. সেহরি ও ইফতারে হারাম খাবার পরিহার করা-
ইমাম গাজালি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘যে ব্যক্তি সারাদিন রোজা রেখে হারাম মাল দ্বারা ইফতার করে, সে যেন একটি অট্টালিকা নির্মাণ করে, আর একটি শহর ধ্বংস করে।’

৬. অন্তরকেও গুনাহ থেকে বিরত রাখা-
রোজা রেখে গুনাহের কাজের কল্পনা করা, পেছনের গুনাহের কথা স্মরণ করে স্বাদ গ্রহণ করা, অহংকার, হিংসা, কুধারণা ইত্যাদি থেকে অন্তরকে হেফাজত করা।

 

দ্যা মেইল বিডি/এইচএসএস

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওাল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2024 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version