নীলফামারীর জলঢাকায় মীরগঞ্জহাট ডিগ্রি কলেজ
কমিটি জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জহাট ডিগ্রি কলেজে কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
একটি পক্ষ সদ্য গঠিত কমিটিকে অবৈধ দাবি করায় দুই পক্ষের মধ্যে ওই ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কলেজ চত্বরের এ ঘটনা ঘটলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। শেষে পন্ড হয় নবগঠিত কমিটির আহুত সভা।
নবগঠিত ওই কমিটির প্রতিপক্ষের অভিযোগ, ২০২১ সালের ৫ মার্চ মীরগঞ্জহাট ডিগ্রি কলেজের একটি কমিটি গঠিত হয়। ওই কমিটির মেয়াদ পূর্তির ১১ মাস বাকি থাকলেও সভাপতি অধ্যাপক খয়রাত হোসেনকে পরিবর্তন করে ওই (সভাপতির) পদ দখল করেন জলঢাকা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ। এরপর থেকে নানা জটিলতায় ওই কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। সে কমিটির মেয়াদকালে কোন সভা না করে সদস্যদের জাল স্বাক্ষরে ভুয়া কাগজপত্র সৃষ্টির মাধ্যমে নতুন আরেকটি কমিটি নিয়ে আসেন আবুল কালাম আজাদ। নতুন ওই কমিটির সভা অনুষ্ঠানের জন্য সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কলেজ চত্বরে সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত হন। এসময় সেখানে উপস্থিত লোকজন ওই ভুয়া কাগজপত্র তৈরীর বিষয়টি জানতে চাইলে সভাপতি আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। ওই হামলার খবরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিলুপ্ত কমিটির বিদ্যুৎসাহী সদস্য মাহবুবার রহমান অভিযোগ করে বলেন,‘ আবুল কালাম আজাদ সভাপতি হয়ে আসার পর তাকে কেউ মেনে নেইনি। যার কারণে বিগত ১১ মাস ওই কমিটির কোন সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। এরই মধ্যে গত ১৩ মার্চ কমিটির মেয়াদ শেষ হলে আবুল কালাম আজাদ ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে গত ২৭ মার্চ সভাপতি হিসেবে দুই বছর মেয়াদে নতুন একটি নতুন কমিটির অনুমোদন নেন।’
তিনি বলেন, ‘নুতন কমিটির জন্য সভার মাধ্যমে ভোটার তালিকা প্রস্তুত, নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হয়। কিন্তু এ সবের কিছুই জানেন না পুরাতন কমিটির সদস্যরা। এতে করে পুরাতন কমিটির সদস্য ও অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।’
সাবেক সদস্য মালেকুজ্জামান বলেন,‘ সোমবার আবুল কালাম আজাদ কলেজে সভা করতে আসেন। এসময় পুরাতন কমিটির সকল সদস্য ও কিছু অভিভাবকসহ এলাকার মানুষজন কমিটি গঠনের বিষয়টি জানতে চান আবুল কালাম আজাদের কাছে। এতে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরে বিক্ষুদ্ধ লোকজনের তোপের মুখে পড়েন তারা।’
এবিষয়ে আবুল কালাম আজাদ বলেন,‘ সেখানে মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তি সভাপতি হতে না পারায় তার ভাই মাহবুবার রহমান বিটু এবং কলেজের বহিস্কৃত অধ্যক্ষ আবুজার রহমানের নেতৃত্বে নবগঠিত কমিটির সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা সকলে জামায়াত বিএনপির। এঘটনায় আমি থানায় অভিযোগ দাখিল করেছি।’
তবে মাহবুবার রহমান বিটু ও আবুজার রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বরেন,‘ঘটনার সময় আমরা নেখানে উপস্থি ছিলেন না।’
জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ কবির বলেন,‘এঘটনায় আবুল কালাম আজাদ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টির তদন্ত চলছে। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে।’