নীলফামারীর ডিমলায় অবৈধ ভেকু মেশিন দ্বারা মাটি কাটার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মারধরের ঘটনায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক নূর মোহাম্মদ সুমন গত রবিবার (২৬শে মার্চ) রাতে ডিমলা থানায় এ মামলা করেন। মামলায় হত্যাচেষ্টা, মারধর, টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ  (ওসি) মো. লাইছুর রহমান মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় ডিমলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মেজবাহুর রহমানসহ ৯ জনের নাম ও অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন- গোলাম রব্বানী (২৮), এহসানুল হক (২৫), উপজেলা  প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মেজবাহুর রহমান (৪২), সাব-ঠিকাদার নয়ন দাস (৫০),  সায়েদ আলী (৩৫), মেজর (৪৫),  ফরিদুল ইসলাম (২৪), প্রশান্ত রায় (২৪),  মিজানুর রহমান (২২) এবং অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জন।
মামলার বিষয়ে ওসি মো. লাইছুর রহমান বলেন, মামলা হয়েছে। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় সাব-ঠিকাদারের প্রতিনিধি  মো. গোলাম রব্বানী বলেন, আমাদেরকে ইউএনও-পিআইও স্যার কাজ করার অনুমতি দিয়েছে, তাই বালু তুলছি!  আমরা ভেকু (স্কেবেটর) মেশিন দিয়ে বালু তুলে রাস্তার সংযোগ সড়কের কাজ করছি, এমন সময় উনি (নূর মোহাম্মদ) এসে ছবি তুলতে বাধা প্রদান করার পরও ছবি তুলেন!  এজন্য আমাদের সাথে ওনার হাতাহাতি হয়েছে। আপনারা এসেছেন উনাকে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মেজবাহুর রহমান মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি বলেন, চাঁদা চাইতে গেলে তো সাংবাদিকরা মাইর খাবেই এটাই স্বাভাবিক।
উল্লেখ্য, গত রবিবার বিকালে উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের শিক্ষকপাড়া এলাকায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের পর প্রথমে বোমা মেশিন তারপর অবৈধ ভেকু মেশিন দ্বারা সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ চলছিল।ভেকু মেশিন দ্বারা মূল সেতুর পিলারের নিকট থেকে মাটিকাটার ভিডিও ফুটেজ ও তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন স্থানীয় একটি পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি নূর মোহাম্মদ সুমন।
Share.
Leave A Reply

Exit mobile version