সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে বঙ্গবন্ধুর  জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জুতা পায়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বংশীকুন্ডা দঃ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাসেল আহমেদ।
এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
গত(১৭ মার্চ) শুক্রবার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জুতা পায়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।এমনটি ঘটেছে মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দঃ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের মিলনায়তনে। ঘটনার জন্ম দিয়েছে স্থানীয় চেয়ারম্যান রাসেল আহমেদ। ছবি তে দেখা যায় অত্র ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল আহমেদ তার ইউপি কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক করছেন। এসময় তার পায়ে জুতা পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়।এ নিয়ে এলাকায় ও আওয়ামী রাজনৈতিক মহলে ব্যপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে কথা বলতে ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছে বল ফোন কেটে দেওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।
বংশীকুন্ডা দঃ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সানোয়ার হোসেন খোকা বলেন,হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান আমাদের আদর্শ। তিনি আমাদের প্রেরণা আর উনার প্রতিকৃতিতে জুতা পায়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা এটা বঙ্গবন্ধু কে অবমাননার সামিল। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মঞ্জু মুন্সি বলেন,জুতা পায়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা অন্যায়।বঙ্গবন্ধুকে অপমান করা হয়েছে।আমরা এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি সেই সাথে দুষি ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানাচ্ছি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও মধ্যনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি কুতুবউদ্দিন তালুকদার বলেন, বঙ্গবন্ধু হলেন আমাদের আদর্শের জায়গা।উনার কারনেই আজকে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছে।আর জন্মশতবার্ষিকীতে উনার প্রতিকৃতিতে জুতা পায়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা শিষ্টাচার বহির্ভূত। আমি মনে করি তারা অঙ্গ, তা না হলে এমন ন্যাকারজনক কাজ কিভাবে করতে পারে আমাদের বোধগম্য নই।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীযুবলীগের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ বলেন জুতা পায়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা বঙ্গবন্ধু কে অবমাননা করা।আমরা এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।

 

 

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version