দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন। আজকের শিশুদের মানবিক গুণাসম্পন্ন দক্ষ সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কারণ, তারাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট জনগোষ্ঠী।

শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি শিশুকে শিক্ষক-অভিভাবকদের কথা মান্য করতে হবে, নিয়ম মেনে চলতে হবে। সবাইকে উন্নত মানবিক গুণাসম্পন্ন হতে হবে। আমাদেরও প্রতিবন্ধী বা অক্ষম শিশুদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে কোনো শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে না, কোনো মানুষ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। দেশের কেউ দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত হবে না। প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করে বাংলাদেশকে আমরা গড়ে তুলবো।

তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার আদর্শ নিয়েই আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। আগামীর বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।’ সরকার শিশুদের সুরক্ষায় সব ব্যবস্থা নিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। ২০৪১ সালে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে চাই। আজকের শিশুরাই হবে আগামী দিনের স্মার্ট জনগোষ্ঠী।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা শিশুদের ভালবাসতেন এবং তাদের সঙ্গে খেলাধুলা করতেন। শিশুদের জন্য তার অত্যন্ত দরদ ছিল। এজন্য তার জন্মদিনকে আমরা ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছি। শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যত, তারা যেন যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।
সরকার প্রধান বলেন, টুঙ্গিপাড়া জাতির পিতার জন্মস্থান। এ মাটিতে তিনি জন্ম নিয়েছেন, বড় হয়েছেন এবং এ মাটিতেই তিনি শায়িত। নিজের জীবনকে তিনি উৎসর্গ করেছিলেন বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য। তিনি যখন স্কুলে পড়তেন তখন থেকেই দরিদ্র শিক্ষার্থীদের নিজের বই দিয়ে দিতেন। নিজের গায়ের কাপড় খুলে দরিদ্র মানুষকে বিলিয়ে দিতেন। এমনকি দুর্ভিক্ষের সময় নিজের গোলার ধান পর্যন্ত মানুষের মাঝে বিলিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা শোষিত-বঞ্চিতদের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্যই আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তিনি শুধু মাতৃভাষা ও স্বাধীনতাই এনে দেননি, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুণর্গঠনকালে মাত্র ৯ মাসের মধ্যে যে সংবিধান দিয়েছিলেন, সেখানেই শিশু অধিকারের কথা বলা আছে। জাতির পিতা ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণের মাধ্যমে দেশের প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন। দুস্থ-অনাথ শিশুদের সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতীয় শিশু আইন, ১৯৭৪ প্রণয়ন করেন। তিনি এসব শিশুর জন্য ‘কেয়ার অ্যান্ড প্রটেকশন সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করেন। যা বর্তমানে সরকারি শিশু পরিবার নামে পরিচিত।

 

মেইল বিডি/এইচএস

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওাল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2025 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version