মাসুম তালুকদার জবি প্রতিনিধি: চাঁদাবাজির অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো: ইব্রাহিম ফরাজীসহ পাঁচজনকে আসামি করে ধারা নং ৩২৩/৩৮৫/৩৮৬/৩৯৫/৪০৬/৪২০/৫০৬/৩৪ তে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে মামলাটি (সি আর কেইস নং ৭৭/২০২৩) করেন মশিউর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে ওয়ারী থানার ওসিকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জহির কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার পরবর্তী তারিখ ১৬ এপ্রিল,২০২৩।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন: ফরহাদ ব্যাপারি, পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আরশাদ আকাশ, রাসেল চাকলাদার, টুটুল আহমেদ ও অজ্ঞাত ২/৩ জন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২২ সালের ২৫ আগস্ট আসামি ফরহাদ ব্যাপারী বাদীর কাছ থেকে ব্যবসার কথা বলে ৪ লাখ টাকা ধার নেন এবং ব্যবসায় লাভ হলে লভ্যাংশ দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিছু দিন পর বাদী আসামির কাছে টাকা চাইলে তিনি জানান, ব্যবসায় লোকসান হয়েছে এবং শিগগিরই টাকা ফেরত দেবেন। এরপর গত বছরের ৫ অক্টোবর পাওনা টাকা চাইলে বাদীকে প্রাণ নাশের হুমকি দেন ফরহাদ। মো: ইব্রাহিম ফরাজী বাদীকে তাদের সমস্যার সমাধান করে দেবেন বলে জানান এবং তাকে দেখা করতে বলেন। ১৮ নভেম্বর ফরাজীর কথা মতো তার ঠিকানায় পৌঁছালে আসামিরা তাকে রুমের ভেতর নিয়ে মারধর করেন। এর মধ্যে আসামি আরশাদ আকাশ পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাদীকে পিস্তল ঠেকিয়ে একটি আইফোন এবং ১১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন এবং তার হাতে পিস্তল দিয়ে ছবি তুলে তার বিরুদ্ধে মামলা দেবে বলে হুমকি দেয়। তার মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে আরো ২ লাখ টাকা দাবি করে এবং এসব বিষয়ে কাউকে কিছু জানলে মিথ্যা মামলা দিয়ে বাদীকে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
মামলার বিষয়ে ফরাজী বলেন, যে কেউ কারো নামে মামলা করতে পারে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে যদি প্রমাণিত না হয় তবে আমি তার বিরুদ্ধে উলটো মানহানির মামলা করব।
এ বিষয়ে মামলার ৩নং আসামি পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আরশাদ আকাশ বলেন, লিজন ছাত্রদল করত। এসব তথ্য ও ছবি আমি ফরাজীকে জানাই। হয়ত সেই ক্ষোভে আমাকে ফাসানো হচ্ছে।
মামলার বাদী মশিউর রহমান বলেন, আমি কোথাও বিচার না পেয়ে বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই। আমার টাকা ফেরত চাই।
দ্যা মেইল বিডি/এইচএসএস