দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

আমিনুল ইসলাম,কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা:

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় গ্রা’হ’কে’র প্রায় ২০ কো’টি টাকা নিয়ে ডা’চ্-বাংলা ব্যাংকের এজে’ন্ট ব্যাংকিং উদ্যো’ক্তা মো. আলমগীরের উ’ধাও হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ১২ মার্চ থেকে উপজেলার বোর্ড বাজারের এজে’ন্ট ব্যাংকিংয়ের শাখাটি তা’লা’ব’দ্ধ আছে। খোঁ’জ মিলছে না অংশীদার ও এজে’ন্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থাপকের।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক দশক ধরে হুগলাকান্দি গ্রামের মৃ’ত সিরাজ উদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে আলমগীর তার অংশীদার বীর কাটিহারি গ্রামের কেনু মিয়ার ছেলে মানিক মিয়াকে নিয়ে বো’র্ড বাজারে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এজে’ন্ট ব্যাংকিং করছেন। ব্যবস্থাপক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় হুগলাকান্দি গ্রামের রিটন মিয়াকে। বর্তমানে তারা সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন।ভালো আচরণের মাধ্যমে গ্রা’হ’কদের আস্থা অর্জন করেন আলমগীর। একপর্যায়ে স্থায়ী আমানত বা ডিপিএস প্রতি এক লাখ টাকা জমার বিপরীতে মাসে এক হাজার টাকা সুদ দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। এতে গ্রামবাসীরা ডিপিএসে আগ্রহী হোন। এসব ডিপিএস রাখার সময় আলমগীর তাদের চেক দেন।ডা’চ্-বাংলা ব্যাংকের এ এজেন্ট শাখায় চর হাজীপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী রতন মিয়ার স্ত্রী রোজিনা আক্তার স্বামীর পাঠানো ২৭ লা’খ টাকা রেখেছিলেন। হুগলাকান্দি গ্রামের আব্দুল মোতালিব রেখেছিলেন সাড়ে ১৫ লাখ টাকা এবং একই গ্রামের আবুল কাসেম রেখেছিলেন ১৪ লাখ টাকা। গত তিনদিন যাবত তারা বোর্ড বাজারে এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় চেক নিয়ে গেলে কারো দেখা পাচ্ছেন না, মোবাইল নম্বরও বন্ধ।ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, এখানকার অনেকের স্বজনই প্রবাসী। তাদের পাঠানো টাকা তারা এজে’ন্ট ব্যাংকিং শাখায় জমা করেছিলেন ডিপিএস হিসেবে। সেই টাকার ওপর প্রতি লাখে ১ হাজার টাকা সুদও পাচ্ছিলেন। কিন্তু রোববার থেকে শাখাটি তালাবদ্ধ করে এজে’ন্ট উ’ধাও হয়ে গেছেন।

হোসেনপুরসহ আশপাশের প্রায় ৪০০ গ্রাহকের ২০ কো’টিরও বেশি টাকা নিয়ে উ’ধাও হয়ে যাওয়া এজে’ন্ট আলমগীর ও তার সহযোগীদের দ্রুত সন্ধান বের করে টাকা ফেরত দেয়ার দাবি জানিয়েছেন হুগলাকান্দি গ্রামের আজিজুল ইসলাম মৃধা।ডাচ্-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এরিয়া ম্যানেজার রোকন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সোমবার থেকে বোর্ড বাজারের এজে’ন্টের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ আছে। এজে’ন্ট আলমগীর তার ব্যক্তিগত নথিপত্র দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন।’

রোকন উদ্দিন আরও বলেন, গ্রাহকরা স্থায়ী আমানত বা ডিপিএস অ্যা’কাউন্টে টাকা রেখেছেন। টাকা ব্যাংক থেকে তুলার জন্য এজে’ন্ট ব্যাংকিংয়ের অনুমোদন দরকার হয়। কিন্তু আলমগীর তার অংশীদার ও এজে’ন্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থাপকসহ উধাও হয়ে যাওয়ায় গ্রাহকরা চেক হাতে ঘুরলেও টাকা তুলতে পারছেন না।তিনি আরও বলেন, ‘গ্রাহকদের অভিযোগ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, অভিযোগ শুনেছি। খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওাল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2025 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version