মদনে এমপিও ভুক্ত কলেজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন তাকলেও নেই শিক্ষক, ছাত্র- ছাত্রী
মদন(নেত্রকোনা)প্রতিনিধিঃ নেই ছাত্র, নেই শিক্ষক, কিন্তু উড়ছে জাতীয় পতাকা ।
নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলায় শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াই চলছে এমপিওভুক্ত জনতা ও কারিগরি বানিজ্য কলেজ নামে একটি কলেজ।
গত বরিবার(১২ই মার্চ) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলেজটিতে একটি প্লাস্টিকের পাইপ এর মধ্যে জাতীয় পতাকা টানানো আছে কিন্তু অধ্যক্ষের রুমসহ সকল ক্লাস রুম তালা বদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়। কয়েক ঘন্টা অবস্থান করলেও শিক্ষক কিংবা ছাত্র-ছাত্রীদের কাউকেই দেখতে পাওয়া যায় নি।
খবর নিয়ে জানা যায়, কলেজটি ২০০৫ সালে স্থাপিত হয়েছিল যা পরবর্তীতে মদন বাজারে একটি ভাড়া বাসাতে থাকাকালীন সময় ২০১৫ সালে এমপিও ভুক্ত হয়েছে যার বর্তমান অবস্থান হচ্ছে ফতেপুর ইউনিয়নের হাসনপুর গ্রামে তাকলেও কলেজের কোন কার্যক্রম নেই।
এসময় স্থানীয় কয়েক জনের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমরা এখানে শুধু কলেজটাই দেখেছি কিন্তু কোন দিন শিক্ষক বা ছাত্র ছাত্রী দেখিনি।তারা আরো বলেন, আমরা চাই কলেজটা যেন খুব তাড়াতাড়ি চালো হয় এবং আমাদের ছেলে মেয়েরা যেন সুন্দর ভাবে পড়াশোনা করে মানুষ এর মত মানুষ হতে পারে।
ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার শফি বলেন, আমি কলেজ অধ্যক্ষকে কয়েকবার কলেজের ক্লাস সুন্দর ভাবে পরিচালনার কথা বলেছি কিন্তু তিনি তা মানেন নি তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেছি।
কলেজ অধ্যক্ষ আরিফুর রহমান খান এর কাছে কলেজে শিক্ষক,ছাত্র- ছাত্রী না থাকায় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জানতে চাইলে তিনি বলেন, কলেজে শিক্ষক ছিল কিন্তু এখন হয় তো খাইতে গেছে,এটা কারিগরি কলেজ তো তাই ছাত্র ছাত্রী তেমন আসে না আর জাতীয় পতাকা থাকার বিষয় টি তিনি একে বারেই এড়িয়ে যান ।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহের তথ্য জন্য অধ্যক্ষ আরিফুর রহমান খানকে ফোন করার পর মন্জুরুল হক নামের এক ব্যক্তি দৈনিক যায়যায় দিন পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উক্ত ব্যক্তি নাভানা ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি করে পাশাপাশি ঐ কলেজে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিনা শাহরীন বলেন, আমি গত বৃহস্পতিবার গভর্নিং বডির মিটিংয়ে অধ্যক্ষকে সুন্দর ভাবে কলেজ পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছি।