ভৈরব নদী ও শ্রমিক বাঁচাতে যশোরের অভয়নগর-নওয়াপাড়া পৌর হ্যান্ডিলং শ্রমিক ইউনিয়ন সংবাদ সম্মেলন করেছে। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে নওয়াপাড়া রেলস্টেশন সংলগ্ন অভয়নগর-নওয়াপাড়া পৌর হ্যান্ডিলং শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শেখ আমিনুর রহমান লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত বক্তব্যে ভৈরব নদী ও ঘাট শ্রমিকদের বাঁচাতে তিনি বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- নদীর দুই তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা। লংবুম দিয়ে খনন কাজ বন্ধ করা। ড্রেজার মেশিন দিয়ে পরিকল্পিতভাবে নদী খনন অব্যাহত রাখা। নদীবন্দর এলাকায় নদীর দুই তীরে গাইডওয়াল নির্মাণ করা। কাজ চলাকালিন কোন শ্রমিক দুর্ঘটনায় পড়লে তার চিকিৎসা ব্যয় ওই ঘাট মালিক ও বন্দর কর্তৃপক্ষের বহন করা। নদীর মধ্যে জেটি নির্মাণ বন্ধ করা। ভৈরব সেতুর নকশা সংস্কার করে পানির স্রোতধারা ফিরিয়ে আনা। প্রতি ঘাটে নারী-পুরুষ শ্রমিকের জন্য নামাজের স্থান ও পৃথক টয়লেটের ব্যবস্থা করা।
বিআইডব্লিউটিএ’র উদাসীনতাকে দায়ি করে তিনি আরও বলেন, নদীর যে স্থানে বালুর সন্ধান মেলে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ সেখানে খনন করে। অপরিকল্পিত খননের কারণে ভৈরব নদী আজ মৃত প্রায়। নদী খনন কাজের সঙ্গে জড়িত অসাধু কর্মকর্তাদের দ্রুত অপসারণ করতে হবে। নদীর অবৈধ দখলদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। উল্লেখিত দাবিসমূহ দ্রুত বাস্তবায়ন করা না হলে শ্রমিকরা রাজপথে নেমে কঠোর আন্দোলন করতে বাধ্য হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অভয়নগর-নওয়াপাড়া পৌর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফাল্গুন মন্ডল, কার্যকরী সভাপতি একরাম ফারাজী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, বর্তমান সহ-সভাপতি নুর ইসলাম খান, জাহাঙ্গীর হোসেন, হাবিল শেখ, আবু বক্কার, মাসুদ রানা, নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, গোলাম কিবরীয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জাকির শেখ, রিপন খা, প্রদীপ কুমার মন্ডল, সিরাজুল ইসলাম, মামুন ফারাজী, কোষাধ্যক্ষ শের আলী মোল্যা, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম, সন্দীপ কুন্ডু, শ্রম ও আইন বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান মামুন, দপ্তর সম্পাদক সুখেন্দু মল্লিক, শিক্ষা ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বদিয়ার রহমান, প্রচার সম্পাদক আরব আলী খন্দকার, আতাউর রহমান, সোহেল আহম্মেদ, ক্রীড়া সম্পাদক অলিয়ার রহমান, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক কামরুল ফকির, কার্যকরী সদস্য কার্তিক মন্ডল, নজরুল ইসলাম, সাহেব আলী, ইউসুফ আলী শেখ, মনোয়ার হোসেন, শামিম হোসেন জিতু প্রমুখ।
নওয়াপাড়া নদীবন্দর সূত্রে জানা গেছে, মজুদখালী খাল থেকে আফরাঘাট পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার নওয়াপাড়া নদীবন্দরের সীমানা। বিআইডব্লিউটিএ’র ৯টি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ১২০টি ছোট-বড় ঘাট রয়েছে। এ ঘাটগুলোর সঙ্গে প্রায় ২৫ হাজার হ্যান্ডলিং শ্রমিক জড়িত রয়েছে। এছাড়া ৪০ জন আমদানীকারক ও সহস্রাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সরকারিভাবে এ বন্দর থেকে প্রতি বছর শত শত কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়।