নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার চাপানী হাট পঞ্চবটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারের দেওয়া নির্ধারিত সময়ের আগেই ছুটি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এতে শিক্ষার মান ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে অভিভাবক মহল।
জানা যায়, বিদ্যালয়টি বেশি ভাগ সময় দুপুর ২ টা থেকে ২.৩০ মিনিটে মধ্যে ছুটি দিয়ে বাড়ি চলে যায়। বিপাকে পড়ছে ছাত্র-ছাত্রীগন। এতে শিক্ষার মান দিনদিন কমে যাচ্ছে। অভিভাবক মহল তাদের সন্তানদের শিক্ষা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে।
স্থানীদের অভিযোগ বিদ্যালয় খোলা হলেও শিক্ষকরা নির্ধারিত সময়ের আগে বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে দিচ্ছেন। এতে করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের আগে বিদ্যালয় ছুটি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
সরকারের দেওয়া নির্ধারিত সময়ের আগেই ছুটি দিয়ে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার মান নষ্ট করছে ঐসব শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তারা।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পঞ্চবটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর দেখা মিলে নাই। স্কুলের প্রতিটি রুম রয়েছে তালা বদ্ধ।
স্কুলের মাঠ থেকে প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদককে ফোন দিলে তিনি জানান, ভাই আড়াইটায় নয়, তিনটার সময় বন্ধ করে চলে এসেছি। আর আমাদের প্রথম শিফটের স্কুল তাই ছুটি দিয়েছি। তিনটার সময় ছুটি দিতে পারেন কিনা? জানতে চাইলে তিনি এর কোন উত্তর দিতে পারেননি।
তবে বিদ্যালয়ের আশেপাশের লোকজন নাম না বলার শর্তে বলেন, মাঝে মধ্যে প্রায়ই দুপুর ২ টা বা ৩ টার মধ্যে স্কুল ছুটি দিয়ে শিক্ষকরা বাড়ি চলে যায়।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের নির্দিষ্ট সময়ের আগে ছুটি না দিতে বারবার নিষেধ করা হলেও তারা ওই কাজটি করেই যাচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ বলেন, কোন নিয়ম না মেনে প্রধান শিক্ষক নিজের খেয়ালখুশি মতো ছুটি দিয়েছে। এবিষয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নবেজ উদ্দিন বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে কেন প্রধান শিক্ষক স্কুল ছুটি ঘোষণা করলেন এর ব্যাখ্যা তার কাছে চাওয়া হবে।