স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ বাংলা সাহিত্যের নবজাগরণের কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মস্থান যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী সাগরদাঁড়ি গ্রামে ১৮২৪ সালের২৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন ।কবির ২০০তম জন্মদিনের প্রাক্কালে কবির নামে মাইকেল মধুসূদন সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
আজ (২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে এগারোটায় মাইকেল মধুসূদন বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটি যশোর প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
মাইকেল মধুসূদন বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির সহকারী সদস্য সচিব মনিরুল ইসলামের পরিচালনায় ও আহ্বায়ক হারুন অর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন- প্রবীণ শিক্ষাবিদ ড.মুস্তাফিজুর রহমান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি অধ্যাপক সুকুমার দাস, যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন,পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দিপংকর দাস রতন, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনতোষ বসু, সাবেক সভাপতি ফারাজী আহম্মেদ সাঈদ বুলবুল,জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ মাহমুদ হাসান বুলু, বিশ্ব বিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এডঃ আবুবক্কার সিদ্দিকী,জহির ইকবাল নান্নু, কামরুল হাসান রিপন, জান্নাতুল ফেরদৌস, রেজোয়ান রণী, মুরাদ হোসেন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় কবি,সাহিত্যিক,মহীয়সী নারীসহ বিখ্যাত ব্যক্তির নামে বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও ঊনবিংশ শতাব্দীর নবজাগরণের কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামে যশোরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জোরালো দাবি জানান এবং মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
এছাড়াও আগামীকাল বৃহস্পতিবার২৫ জানুয়ারি বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে কবির জন্মস্থান যশোরের কেশবপুর উপজেলার কপোতাক্ষ নদের কূলে অবস্থিত সাগরদাঁড়িতে মানববন্ধন ও মেলার প্রধান অতিথি সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য মাইকেল মধুসূদন দত্ত ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি এবং নাট্যকার ও প্রহসন রচয়িতা।তাকে বাংলার নবজাগরণ সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব গণ্য করা হয়। ঐতিহ্যের অনুবর্তিতা অমান্য করে নব্যরীতি প্রবর্তনের কারণে তাকে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি হিসেবেও অভিহিত করা হয়।