মোঃ আতাউর রহমান, মিরপুর প্রতিনিধি: রাজধানীর মিরপুর রূপনগরে ‘ট’ ব্লকে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী মায়া হত্যায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত সাড়ে ৩টায় রাজধানীর রুপনগরের বাসা থেকে মায়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রোববার ভিকটিমের ভাই আওলাদ হোসেন বাদী হয়ে রূপনগর থানায় মামলা করেন। ওইদিনই রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে মামলার ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গ্রেফতার কৃতরা হলেন- শিপন ও আসাদুল ইসলাম। এ সময় রক্তমাখা ছুরি ও জ্যাকেট জব্দ করেন পুলিশ।
সোমবার মিরপুর ডিসি অফিসে সংবাদ সম্মেলনে মায়া হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে এসব তথ্য জানান ঢাকা (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের (ডিসি) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা।
তিনি বলেন, ভাড়াটিয়া শিপন জানতেন নিহতের স্বামী বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতেন। টাইলস মিস্ত্রি ঠিক করে দেয়ার পরও অন্য মিস্ত্রি দিয়ে কাজ করানো আরেকটি মোটিভ হতে পারে। অন্য মিস্ত্রিরা কেমন কাজ করেছে দেখার কথা বলে আসামিরা নিহত মায়ার বাসায় প্রবেশ করেন।’
‘হত্যার মোটিভের বিভিন্ন দিক আমরা খতিয়ে দেখছি। গ্রেপ্তার শিপন ভিকটিমের বাড়িতে থাকতেন। আর আসাদুল পাশের একটি বাড়িতে থাকতেন। নিহতের বাসায় তাদের আসা-যাওয়া ছিল। শিপন ঘটনার আগের দিন সন্ধ্যায় এসেছিলেন ভিকটিমের বাসায়।
‘তারা চুরি বা ডাকাতির উদ্দেশ্যে ওই বাসায় গিয়েছিলেন কি না বা পূর্বশত্রুতা ছিল কি না এসব বিষয় আমরা খতিয়ে দেখছি। তিনতলার ভাড়াটিয়াকে শিপন একজন টাইলস মিস্ত্রি ঠিক করে দিয়েছিলেন। কিন্তু মায়া তাদের মিস্ত্রি না নিয়ে অন্য মিস্ত্রি ঠিক করেন। সব বিষয় আমরা খতিয়ে দেখছি।
ধর্ষণের ঘটনা আছে কি না জানতে চাইলে ডিসি জসীম উদ্দীন মোল্লা বলেন, ‘ভিকটিম যেহেতু নারী, একজন নারী পুলিশ অফিসার পা থেকে মাথা পর্যন্ত সুরতহাল রিপোর্ট করেছেন। এ বিষয়ে কিছু থাকলে মেডিক্যাল রিপোর্টে আসবে।’ আসামিরা হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।